মা-মণির অদক্ষ সিএসবি কর্মী ও হাতুড়ে ডাক্তার কর্তৃক ডেলিভারীর অপ-চেষ্টায় নবজাতকের মৃত্যু মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে জন্মধাত্রী
তারিখ: ২০-মে-২০১৩
স্টাফ রিপোর্টার ॥্ আজমিরীঞ্জের বদলপুর ইউনিয়নের পাহাড়পুর গ্রামে মা-মণি প্রকল্পের অদক্ষ সিএসবি কর্মী ও হাতুড়ে ডাক্তার কর্তৃক অপ-চেষ্টায় এক নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। জন্মদাত্রী মা রীপা দাস (২২) অসুস্থ অবস্থায় এখন সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বেডে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়- পাহাড়পুর গ্রামের উমা প্রসাদ তালুকদারের স্ত্রী রীপা দাস ৯ মাসের গর্ভবতী ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার সকালে রীপা দাসের ডেলিভারী ব্যাথা বাড়তে থাকে। এ সময় রীপার নিকটতম আত্মীয়-স্বজন মা-মনি প্রকল্পের সিএসবি কর্মী স্বরুপা রানী (২৩) এর স্মরণাপন্ন হন। খবর পেয়ে সকাল ৯টার দিকে স্বরুপা তার তেলেসমাতি দেখাতে আতুর ঘরে জোরপূর্বক বাচ্চা প্রসব করানোর পায়তারা করেন। দীর্ঘ সময় ধরে ডেলিভারীর অপচেষ্টা চালানোর পরে ব্যার্থ হয় স্বরুপা। পরে উক্ত এলাকার গ্রাম্য ডাক্তার নিপেন্দ্রু কুমার দাশকে সঙ্গে নিয়ে ৫ থেকে ৬ ঘন্টাব্যাপি চলে ডেলিভারীর হাতুড়ে কৌশল প্রয়োগ। এভাবে প্রায় ১০ ঘন্টা পর্যন্ত ডেলিভারীর অপচেষ্টা চললে অজ্ঞান হয়ে পড়েন রীপা দাস। বিষয়টি রীপার পরিবারের দৃষ্টিগোচর হলে তারা অপ-চেষ্টা বন্ধের আহ্বান জানান। কিন্তু এতে কর্ণপাত না করে অদক্ষ সিএসবি কর্মী ও হাতুরে ডাক্তার চেষ্টা চালিয়ে যান। তাদের ব্যর্থ চেষ্টার পর রীপার পরিবারের লোকজন রীপা ও তার নবজাতককে বাঁচাতে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের উদ্দেম্যে রওয়ানা হন। রাত ৩টায় রীপাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত ডাক্তার জানান, অদক্ষ হাতে ডেলিভারীর অপ-চেষ্টায় রীপার গর্ভজাত সন্তান মারা গেছে। এদিকে, রীপার শারীরিক অবস্থাও আশংকাজনক। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের বেডে শুয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।

রীপার বড় ভাই সুপ্রীয় দাস জানান, বিষয়টি সম্পর্কে মা-মনি প্রজেক্টের উপজেলা ম্যানেজার, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, বদলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে অবগত করা হয়েছে।

সুপ্রীয় দাস হাতুরে ডাক্তার ও সিএসবি কর্মীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

প্রথম পাতা