নবীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান আলমগীর চৌধুরীর বর্নাঢ্য রাজনৈতিক জীবনী
তারিখ: ১৭-এপ্রিল-২০১৪
নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥

নবীগঞ্জ উপজেলার নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আলমগীর চৌধুরী গত ১৫ ই এপ্রিল মঙ্গলবার সিলেট বিভাগীয় কমিশনার কার্য্যালয়ে শপথ গ্রহন করেন। উপজেলা চেয়ারম্যান হিসাবে তাকে শপথ বাক্য পাঠ করান সিলেট বিভাগীয় কমিশনার  সাজ্জাদ হোসেন। তিনি নবীগঞ্জ উপজেলার ৭ নং করগাও ইউনিয়নরে করগাও গ্রামে  ১৯৬৫ সালে ১লা এপ্রিল এক সম্ভান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন।   বি এ ও এল এলবি ডিগ্রীধারী মোঃ আলমগীর চৌধুরী ছাত্রলীগের রাজনীতির মাধ্যমে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। তাই রাজপথের একজন পরীক্ষিত সৈনিক হিসাবে খ্যাতি অর্জন করে তিনি  ১৯৮০ সালে হবিগঞ্জ বৃন্দাবন সরকারী কলেজ শাখার সাধারন সম্পাদক  এবং ১৯৮৪ সালে সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন এবং  ভারপ্রাপ্ত  সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। দীর্ঘদিন ছাত্র রাজনীতির সফল পরিসমাপ্তির পর তিনি ১৯৯১ সালে জাতীয় শ্রমিকলীগ হবিগঞ্জ জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন। শ্রমিকলীগের রাজনীতির সফল নেতৃত্বের পর যুবকদেরকে সংগঠিত করে জেলা যুবলীগের রাজনীতিতে প্রবেশ করে ১৯৯৬ সালে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে তিনি হবিগঞ্জ জেলা যুবলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে তিনি নিজেকে গণমানুষের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করার জন্য বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ রাজনীতিতে প্রবেশ করে ২০০৩ সম্মেলনের মাধ্যমে কাউন্সিলরদের বিপুল ভোটে জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তিনি ২০০৬ সালে ২৭ শে জানুয়ারী হবিগঞ্জের বৈদ্যার বাজারে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়ার সাথে দলীয় সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় আহত হয়ে ও আওয়ামীলীগের রাজনীতির প্রতি অবিচল থাকেন। জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর অত্যন্ত দক্ষতা বিচক্ষনতার সহিত দায়িত্ব পালন করে তিনি। তিনি ২০১০ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত হবিগঞ্জ চেম্বার অব কর্মাসের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন। দীর্ঘ ৩০ বছর বছরের রাজনৈতিক পথচলায় বিভিন্ন চড়াই উৎরাই এর মধ্য দিয়ে এক সংগ্রামী রাজনৈতিক নেতৃত্ব দেন। সর্বশেষ তিনি ২০১৩ সালের ২৫শে জুন জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন ও কাউন্সিলে সাধারন সম্পাদক পদে নির্বাচন করে সামান্য ভোটের ব্যবধানে এমপি এডঃ আব্দুল মজিদ খাঁনের সাথে পরাজিত হন। এছাড়া তিনি দীর্ঘ ২০ বছর হবিগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য ও সহ-সভাপতি হিসাবে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ তিনি চলতি বছরের ২৩ শে মার্চ নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ৪র্থ নির্বাচনে আওয়মীলীগ ও মহাজোটের প্রার্থী হিসাবে আওয়ামীলীগের ২ জন বিদ্রোহী প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও  বিপুল ভোটের ব্যবধানে ১৯ দলীয় জোট প্রার্থীকে পরাজিত করে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

প্রথম পাতা