বালুমহাল নিয়ে জেলা প্রশাসন-বন বিভাগ মুখোমুখি অবস্থান
তারিখ: ২০-অগাস্ট-২০১৪
স্টাফ রিপোর্টার ॥

চুনারুঘাট উপজেলার রঘুনন্দন রেঞ্জ এর শাহপুর এলাকার একটি বালু মহাল নিয়ে জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগ এখন মুখোমুখি। সঠিক কাগজপত্র না থাকার অজুহাতে গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১২টায় বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেন নির্বাহী বিচারক (এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট) এ কে এম সাইফুল আলমের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়- এ বছরের ১১ আগস্ট রঘুনন্দন রেঞ্জ এর চুনারুঘাট উপজেলার শাহপুর বালু মহালটি বন বিভাগ থেকে সাড়ে ১৩ লাখ টাকায় ১ বছরের জন্য ইজারা নেন চুনারুঘাট উপজেলার জনৈক আবু তাহের তরফদার তৌফিক। মঙ্গলবার সকাল থেকে ইজারাদার তার নিয়োগকৃত লোক দ্বারা ওই মহালে বালু উত্তোলন করতে থাকেন। খবর পেয়ে (এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট) এ কে এম সাইফুল আলমের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত মহালে গিয়ে বালু উত্তোলন করতে বাধা দেন।
এ সময় ইজারাদারের লোকজন মহালটি বন বিভাগ থেকে ইজারা নিয়েছেন জানালে বিচারক সাইফুল আলম কাগজপত্র দেখতে চান। পরে খবর পেয়ে রঘুনন্দন রেঞ্জ কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন নিজেই ইজারার কাগজপত্র নিয়ে মহালে উপস্থিত হন। তবে, রেঞ্জার দেলোয়ার ইজারা প্রদানের প্রয়োজনীয় সকল কাগজ দেখাতে না পারায় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল আলম তাকে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতের গাড়িতে তুলেন। পরে বুধবার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখানোর শর্তে তাকে ছেড়ে দেন।
এ ব্যাপারে রেঞ্জার দেলোয়ার হোসেন জানান- তাকে আটক করা হয়নি। ইজারা প্রদানের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতেই তিনি ভ্রাম্যমান আদালতের কাছে যান। তিনি আরও জানান- শাহপুরে এলাকায় ২টি বালু মহাল রয়েছে। একটি জেলা প্রশাসন থেকে ইজারা দেওয়া হয়। আরেকটি বন বিভাগ ইজারা দেয়। ইতোপূর্বে ২০০৬ ইংরেজী সনের আগ পর্যন্ত বন বিভাগ ওই মহালটি ইজারা দিলেও অজানা কারণে এরপর আর ইজারা হয়নি। এ বছর বন মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে বন বিভাগ এ মহালটি ইজারা দেয়।
এ ব্যাপারে নির্বাহী বিচারক (এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট) এ কে এম সাইফুল আলম জানান- আটক নয়, ইজারার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতেই রেঞ্জার দেলোয়ার হোসেনকে গাড়িতে তোলা হয়েছিল। পরে তিনি ইজারা প্রদানের অনুমতিপত্র নিয়ে বুধবার জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে উপস্থিত হওয়ার কথা বললে তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়।

প্রথম পাতা
শেষ পাতা