আদালত প্রাঙ্গনে কাউন্সিলর এর সাথে পুলিশের বাকবিতন্ডা ॥ বানিয়াচঙ্গে মাদ্রাসার ছাত্রী পালিয়ে যাওয়ার ২৮ দিন পর থানায় আত্মসমর্পন
তারিখ: ১-সেপ্টেম্বর-২০১৪
স্টাফ রিপোর্টার ॥

বানিয়াচং থেকে পালিয়ে যাওয়া মাদ্রাসার ছাত্রী থানায় আত্মসমপর্ণ করেছে। পুলিশ ছাত্রীকে কোর্টে প্রেরণ করলে কোর্ট জবানবন্দি শেষে ছাত্রীর নিজ জিম্মায় মুক্তি দেয়। এ সময় ছাত্রীকে হবিগঞ্জ শহরের ইনাতাবাদ এলাকার পৌর মহিলা কাউন্সিরর সালমা আক্তার পারুল নিয়ে যেতে চাইলে পুলিশের সাথে বাকবিতন্ডা হয়।

পুলিশ সুত্রে জানা যায়, বানিয়াচং সদরের শেখের মহল্লা গ্রামের মানিক মিয়ার পুত্র মনসাদ (২০) এর সাথে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে গরীব হোসেন মহল্লার খলিলুর রহমানের কন্যা স্থানীয় মাদ্রাসার ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী ফাইমা আক্তার (১৮)। পরিবারের লোকজন বিষয়টি আচঁ করতে পারে ফাইমাকে গালমন্দ করলে গত ৩ই আগস্ট প্রেমিক যুগল অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায়। এ ব্যাপারে ফাইমার ভাই সাইফুর রহমান পারভেজ বাদী হয়ে বানিয়াচং থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। গতকাল রবিবার সকালে ফাইমা স্বেচ্ছায় এসে বানিয়াচং থানায় আত্মসমপর্ণ করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ দেব ফাইমাকে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রোকেয়া রহমানের আদালতে প্রেরণ করেন। আদালত ফাইমার জবানবন্দি রেখে প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় ডাক্তারী পরীক্ষা শেষে তার নিজ জিম্মায় মুক্তি দেয়ার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন। এসময় পুলিশ ফাইমাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় আদালতের বারান্দা থেকে কাউন্সিলর সালমা তাকে নিতে চাইলে পুলিশ তাকে বাধাঁ দেয়। এসময় তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে তোপের মুখে ফাইমাকে গাড়ি দিয়ে তড়িগড়ি করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের সামনে আবারো পুলিশের সাথে কাউন্সিলর সালমার বাকবিতন্ডা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। পরে ডাক্তারী শেষে ফাইমাকে নিজ জিম্মায় ছেড়ে দেয় পুলিশ। এ ব্যাপারে তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি বিশ্বজিৎ দেব জানান, ভিকটিম ফাইমা প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় আদালতে নিজ জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

শেষ পাতা