অল্প শিক্ষা ভয়ংকরী কুলাঙ্গার লতিফ সিদ্দিকীর কটুক্তি প্রসঙ্গে
তারিখ: ১-অক্টোবর-২০১৪

হারুন চৌধুরী চুনু- শুধু প্রাতিষ্ঠানিক উচ্চতর ডিগ্রী নিলেই সুশিক্ষিত হওয়া যায় না। সুশিক্ষিত, জ্ঞানী বা শিষ্টাচারসম্পন্ন হতে বিরাট ডিগ্রীর কোন প্রয়োজন হয় না। ডিগ্রী থাকলে সোনায় সোহাগা। তবে প্রচুর পড়াশুনা, ভ্রমন এবং জ্ঞানী লোকের সান্নিধ্যে অবশ্যই যেতে হবে এবং তার সাথে শারীরিক সুস্থতা অবশ্যই অপরিহার্য্য। যেমন টাঙ্গাইলের লতিফ সিদ্দিকী (এম.পি এবং মন্ত্রী) দুর্নীতিবাজ এবং অসভ্য মন্ত্রী। গত রবিবার নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইট্সের একটি হোটেলে টাঙ্গাইল প্রবাসী বাংলাদেশীদের সংগে মতবিনিময়কালে বিনা মেঘে বজ্রপাতের মত হঠাৎ করে বলে আমি হজ্জ্ব এবং তাবলিগ জামাত দু’টোরই ঘোর বিরোধী। আমি জামায়াতে ইসলামীরও বিরোধী। তবে তারচেয়েও হজ্জ্ব ও তাবলিগ জামায়াতের বেশী বিরোধী। বেয়াদবটা আরও বল্ল আব্দুল্লার পুত্র মোহাম্মদ চিন্তা করল এ জাজীরাতুল আরবের লোকেরা কিভাবে চলবে ? তারাত ডাকাত। তখন মোহাম্মদ একটা ব্যবস্থা করল যে, তার অনুসারীরা প্রতিবছর একবার মক্কায় মিলিত হবে। এর মধ্য দিয়ে মক্কার লোকদের একটা আয়ের ব্যবস্থা হবে। হায়রে আওয়ামীলীগের কুলাঙ্গার অল্প শিক্ষা ভয়ংকরী মন্ত্রী তোমার মত আওয়ামীলীগের একটা সদস্যই যথেষ্ট, দলকে ধ্বংশ করার জন্য। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি আর কোনদিকে তাকাবেন প্লিজ, ঐ কুলাঙ্গার লতিফ সিদ্দিকীর মত যে কয়টা চোর দূর্ণীতিবাজ মন্ত্রী এমপি আওয়ামীলীগে আছে, তাদের আর এক মুহুর্তও দেরী না করে, ঝাড়– মেরে শান্তিসহ বিদায় করুন। এই অল্প শিক্ষা ভয়ংকরী পরিবারের সদস্য লতিফ সিদ্দিকী, কাদের সিদ্দিকী এরা মিথ্যেবাদী এবং বেয়াদব। এদের সত্যিকার শিক্ষা কতটুকু কম হলে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ধর্ম ইসলাম সম্পর্কে, হজ্জ্ব এবং আমাদের প্রাণপ্রিয় নবী সম্পর্কে এসব ভ্রান্ত মন্তব্য করতে পারে, তার আর অপেক্ষা রাখে না। নিউইয়র্কের ঐ সভায় যারা উপস্থিত ছিলেন, বুঝতে পারলাম না, তারা কিভাবে ঐ অসভ্যটাকে নিরাপদে সভাস্থল ছেড়ে যেতে দিল। আহ্হা, আমি যদি ঐ সভায় উপস্থিত থাকতাম, তাহলে একমুষ্ঠাঘাতে তার দাঁতজিহ্বা ছিন্ন ভিন্ন করে দিতাম। হারামজাদা বেটা চোর। কোন সাহসে এতগুলো লোকের সামনে, এতবড় কথা উচ্চারণ করতে পারল। তার খুঁটির জোর কোথায় ? আওয়ামীলীগের সকল সদস্যের প্রতি আমার অনুরোধ, ওর ঐ খুটির জোরের রহস্যটা উদঘাটন করুন। কতগুলো ভন্ড এবং দূর্ণীতিবাজদের হাত থেকে জাতির পিতার এনে দেয়া এ বাংলাদেশটাকে বাঁচান। ওর ভাই কাদের সিদ্দিকী আর একটা মিথ্যেবাদী ও চাপাবাজ। এবং খাঁটি অল্পশিক্ষা ভয়ংকরী। এখন প্রায়ই সে বাংলাদেশ প্রতিদিনে উপসম্পাদকীয় লেখে। ওর লেখা পড়লেই আমার মেজাজটা খারাপ হয়ে যায়। লেখাতে প্রচুর ভুল এবং শুধু নিজের এবং তার পরিবারের কথাই লেখে। মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে যখন লেখে তখন মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে যাদের কোন ধারণা নেই, তাদের মনে হবে বাংলাদেশে সে না থাকলে বোধ হয় এ দেশ কোন দিনই স্বাধীন হত না। তুমি টাঙ্গাইলের কোন এক কোণায় (টাঙ্গাইল তখন একটা সাধারণ থানা), কোন এক কোণায় মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছিলে, আমাদের জানার কোন প্রয়োজনই হয়নি। তার চাপাবাজিতে মনে হয় এদেশে তার মত মুক্তিযোদ্ধা আর একজনও নেই। বেটা আস্তা একটা ভন্ড। কৃষকলীগ পার্টি করেছ ? গলায় সবসময় একটা গামছা লাগিয়ে হাঁট। থাক বড় প্রাসাদে, গাড়ি হাকাও, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরায় ঘুমোও। গলায় গামছা ঝুলিয়ে সাধারণ কৃষককে বোকা বানিয়ে মনে করেছিলে, তুমি এদেশের সবচেয়ে বড় নেতা বঙ্গবন্ধুর মত হয়ে যাবে। দেশের মানুষকে কত বোকা ভাব। বাংলাদেশের কথা বাদই দাও। টাঙ্গাইলের অধিকাংশ পরিবারই তোমার পরিবারের চেয়ে শিক্ষিত এবং আভিজাত্যিক। বাংলাদেশের মানুষ এত বোকা নয়। মাঝে মাঝে এক ভাই আর এক ভাইয়ের বিরুদ্ধে বলে দল এবং বাংলাদেশের মানুষকে বোঝাতে চাও, আদর্শের ব্যাপারে তোমরা জাতির পিতার মত আপোষহীন। এসব রাস্তা ছেড়ে দাও। তোমাদের চাপাবাজি মানুষের কাছে অনেক আগেই ধরা পড়ে গেছে। তোমার লেখা এবং বলায় কত যে ভুল তার মাত্র দু’টি উদাহরণ আমি তুলে ধরছি ঃ- ১। কিছুদিন আগে বাংলাদেশ প্রতিদিন এ তুমি লিখেছ বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর তোমার সঙ্গে তখনকার এক সুপারইনটেন্ডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার এর মেয়ের জন্য বিয়ের আলাপ চলছিল। পদটা হবে সুপারইনটেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ার (তত্ত্ববধায়ক প্রকৌশলী)। দ্বিতীয়টি গত তত্বাবধায়ক সরকারের আমলের কথা। সম্ভবত ২০০৭সালের শেষের দিকে ডঃ হুসেইন জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে এক মত বিনিময় সভায় তুমি হুসেইন জিল্লুর রহমানকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলে আপনারাত সরকারী কর্মকর্তা। তোমার কথা শুনে হুসেইন জিল্লুর রহমান অবাক হয়ে তোমার দিকে তাকিয়ে বলেছিল। আমরাত ভাই সরকারী কর্মকর্তা নই। আমরা উপদেষ্টা। অথচ সরকারী কর্মকর্তা এবং উপদেষ্টাদের মাঝে কি পার্থক্য এটুকুও তোমার জানা ছিল না। একবার এক পত্রিকায় দেখেছিলাম ক্ষমতার দাপটে বেশ কয়েক বছর আগে তোমার পিতা টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসকের গালে চড় মেরে ছিল। তোমাদের কত বড় দৃষ্টতা। অন্য এলাকা থেকে একজন ভদ্রলোক জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব নিয়ে চাকুরী করতে এসেছিলেন। ক্ষমতার জোরে নিজ এলাকায় এ ধরণের সুযোগ যে কোন লোকই নিতে পারে। কিন্তু ভদ্র পরিবারের কোন সদস্য কখনও একজন সরকারী কর্মকর্তার সঙ্গে এ ধরণের অশোভন আচরণ করবে না, করতে পারে না। তোমার মত অল্প শিক্ষা ভয়ংকরী পরিবারের লোকেরাই এ ধরণের ব্যবহার করে থাকে। আবার ক্ষমতা যখন থাকে না, তখন দেখা যায় ডিসি, এসপি, এমনকি ও.সিকেও প্রয়োজনে বাপ ডাকতে পিছপা হও না। গত রাতে যখন টিভির খবরে কুলাঙ্গার মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকীর হজ্জ্ব সম্পর্কে কটুক্তি করতে দেখি, তখন থেকেই আমি একটি সেকেন্ডও ঘুমোতে পারিনি। সালমান রুশদীও এতবড় কটুক্তি করেনি। সালমান রুশদীর স্যাটানিক ভার্সেস থেকেও অনেক বড় কথা খোলামেলা সভায় কোন শক্তির বলে সে হজ্জ্ব এবং নবী সম্পর্কে চরম বেয়াদবের মত এতবড় কটুক্তি করার দৃষ্টাতা দেখাল। তা আমি এখনও বুঝে উঠতে পারছিনা। এতবড় দৃষ্টাতার জন্য রাষ্ট্র্রের কাছে আমি লতিফ সিদ্দিকীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার দাবী জানাচ্ছি।

আমার সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ, তাঁর ঘর কাবা শরীফ, তাঁর বিধান, এ সব কিছুর উপর অগাধ বিশ্বাস থেকেই আমি ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি এবং এ সব কিছুর মাধ্যমেই পরিবার পরিজন, দেশ এবং দেশের মানুষকে ভালবাসার সাথে সেবা দিতে চেষ্টা করি। আমার আল্লার চেয়ে কোনকিছুই বড় নয়। মা-বাবা, স্ত্রী, সন্তান, নাতি-নাতনী কিছুই নয়। দেশত নয়ই। আল্লার জন্য আমি সবকিছুই ত্যাগ করতে রাজি আছি।

অতএব, এ ধরণের মোনাফেকের বিচারত অবশ্যই হতে হবে।

সকল ধর্মের মানুষেরই নিজ নিজ সৃষ্টিকর্তার প্রতি অমিশ্রভাবে বিশ্বাস থাকা উচিত। সৃষ্টিকর্তার প্রতি যার বিশ্বাস নেই সে কোনদিনই মানুষ হতে পারে না। সে অবশ্যই পশু। সৃষ্টিকর্তা যে মানে, তার সৃষ্টিকর্তার প্রতি ভয় এবং ভালবাসা দুুটোই থাকবে। তখন কোন অনৈতিক কাজ করতে অবশ্যই ভয় পাবে। আর সৃষ্টিকর্তার প্রতি যার বিশ্বাস নেই, তার দ্বারা যে কোন অনৈতিক কাজ হতে পারে বা হবেও। এমনকি মা বোনের সহিতও অন্ধকারে তার দ্বারা অনৈতিক কাজ সংগঠিত হতে পারে। যেমন পশুদের দ্বারা হরহামেশাই সংগঠিত হয়। অতএব, লতিফ সিদ্দিকীদের মত মানুষদের কাছ থেকে সাবধান।

চেয়ারম্যান, রোজ’ বাংলাদেশ, হবিগঞ্জ।

মোবাইল ঃ ০১৭৩-১১৩৩৬৬৬

প্রথম পাতা
শেষ পাতা