বাহুবলে বৈধ কাগজপত্র না থাকায় করাতকলে সিলগালা, ৭পিছ গাছের টুকরো জব্দ করা সহ এক বেকারী মালিককে বিভিন্ন অপরাধে ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড আদায় করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। গতকাল দিন ব্যাপী হবিগঞ্জের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্র্রেট একেএম সাইফুল আলমের নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অর্থদন্ড ও সিলগালা করা হয়েছে।
জানা যায়, বাহুবলে ভেঙ্গের ছাতার মত অবৈধ ভাবে গজিয়ে উঠছে একাধিক করাতকল। স্থাণীয় সংঘবদ্ধ গাছ চোরেরা সরকারী ও মালিকানাধীন গাছ কেটে নিয়ে এসব স’মিলে নিয়ে নির্বিঘেœ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করছে। কিন্তু করাতকল মালিকদের নেই বৈধ কাগজপত্র। দিবারাত্রি অবৈধ করাতকল বসিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। স্থাণীয় প্রভাবশালীরা করাতকল ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ায় কেউ প্রতিবাদ করতে পারেনি। অবৈধ করাতকল মালিকেরা দাপটের সাথে গাছ চেরাই কাজ করছে। উপজেলার বিভিন্ন বেকারীতেও কাপড়ে মিশ্রিত রং খাদ্যদ্রব্যেতে মিশিয়ে সাধারণ মানুষের হাতে তুলে ধরছে। অধিক লাভেল আশায় নোংরা পরিবেশে তৈরি বেকারীর কেক, বিস্কিট ও নানা ধরণের খাবার সামগ্রী খেয়ে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
স্থাণীয় প্রশাসনের চোখের সামনে এসব বেকারী মালিকরা বিএসটি আই’র অনুমতি ছাড়াই দেদারছে তাদের ব্যবসা চালালেও কেউ নজর দেয়নি।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে হবিগঞ্জের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্র্রেট একেএম সাইফুল আলমের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত এক অভিযান পরিচালনা করেন। এতে উপস্থিত ছিলেন, বাহুবল মডেল থানার এস আই আব্দুল্লাহ আল মামুন সহ একদল পুলিশ। ভ্রাম্যমান আদালত পুটিজুরীর মীরেরপাড়া গ্রামের পাশে সিরাজুল ইসলামে নামে ইস্যুকৃত করাতকল ও গাছের বৈধ কাগজপত্র না পেয়ে করাতকলে সিলগালা ও মেশিনের চাকা সহ বেশ কয়েক ফুট একাশি সহ বিভিন্ন প্রকারের গাছ জব্দ করেন এবং বাহুবল বাজারের পার্শ্ববর্তী আশা বেকারীর মালিক ইউনূছ মিয়াকে বিভিন্ন অপরাধে ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড ও ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেছেন।