বানিয়াচঙ্গে প্রভাবশালী চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা করায় প্রবাসী মোস্তাককে জঙ্গি বানানোর পায়তারা
তারিখ: ২৬-নভেম্বর-২০১৪
স্টাফ রিপোর্টার ॥

বানিয়াচঙ্গের এক প্রভাবশালী ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়েরের ৪ দিন পর উপজেলা সদরের তকবাজখানী গ্রামের মনু মিয়ার পুত্র প্রবাস ফেরত মোস্তাককে জঙ্গি সন্দেহে পুলিশ গ্রেফতার করায় জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এদিকে তরুণ সমাজসেবক মোস্তাক খাকে জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতারের ইন্ধনদাতা ওই প্রভাবশালী চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, প্রভাবশালী ওই ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করায় ও তাকে বিয়ে পাগল বলায়, মামলার বাদি প্রবাসী মোস্তাককে হেনস্তা করতেই ওই চেয়ারম্যানের ইন্ধনে তাকে জঙ্গি সাজিয়ে গ্রেফতার করানো হয়েছে। সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, বানিয়াচঙ্গ সদরের তকবাজখানী গ্রামের মোস্তাক খা প্রায় ৭ বছর তুরস্কে ব্যবসা বানিজ্যের মাধ্যমে প্রচুর ধন সম্পদ অর্জন করে গত ৬ মাস পূর্বে দেশে ফিরে আসেন। দেশে ফেরার পর তিনি এলাকার মসজিদ মাদ্রাসার উন্নয়নসহ গরীব ও অসহায়দের আর্থিক অনুদান দিয়ে ইতিমধ্যেই এলাকায় তরুণ দানবীর ও সমাজসেবক হিসেবে সুনাম অর্জন করেন। বানিয়াচং উপজেলা সদরের ২নং উত্তর পশ্চিম ইউনিয়নের আগামী নির্বাচনে প্রবাসী মোস্তাক চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। মোস্তাক তার সামাজিক কার্যক্রমের দ্বারা এলাকায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেন। বিষয়টি কু-নজরে আসে প্রভাবশালী চেয়ারম্যানের। গত ২৩ অক্টোবর ওই চেয়ারম্যান মোস্তাককে একটি জরিমানার নোটিশ প্রদান করেন। নোটিশে চেয়ারম্যানের অনুমতি ছাড়া ৩ তলা ফাউন্ডেশন করে ১ তলা বিল্ডং নির্মানের কারণ দর্শানোর জন্য বলা হয়। মোস্তাক আদালতের মাধ্যমে নোটিশের জবাব প্রদান করলেও প্রভাবশালী ওই চেয়ারম্যান ২৮ অক্টোবর মোস্তাককে আবারও ১৫ হাজার টাকা জরিমানা দেওয়ার নোটিশ প্রদান করেন। এছাড়াও মোস্তাকের কাছে দুই লাখ টাকা চাদাদাবি করার অভিযোগে ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আদালতে চাঁদাবাজীর মামলা দায়ের করেন। যা বিভিন্ন স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশ হয়। কিন্তু গত সোমবার হঠাৎ করে মোস্তাককে বানিয়াচং থানা পুলিশ জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার করে। অনুস্ন্ধানে জানা যায়, তরুণ সমাজসেবক মোস্তাককে গ্রেফতারের পর এলাকায় জনগণের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসীরা জানান, ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মুখ খুলে কিছু বললেই সে এলাকার নিরীহ মানুষদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে। এলাকাবাসীরা আরো জানান, ওই চেয়ারম্যানের নিজের বাড়ি কিংবা ইউনিয়নে শতাধিক ফাউন্ডেশনের বাড়ি থাকলেও নিজের কিংবা অন্যান্য বিল্ডিং তৈরী কারীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে শুধু মাত্র উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মোস্তাককে নোটিশ প্রদান করেছেন। এরই জের ধরে ওই চেয়ারম্যানের ইন্ধনে মনু মিয়ার পুত্র বিদেশ ফেরত মোস্তাককে জঙ্গি দেখিয়ে গ্রেফতার করানো হয়েছে বলে এলাকাবাসী দাবী করেন।

এভাবে যদি প্রবাসীদের কথিত জঙ্গী সাজিয়ে হয়রানী করা হয় তাহলে কোন প্রবাসী আর দেশে এসে উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত হবেন না।

প্রথম পাতা
শেষ পাতা