বাহুবলে বিলে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছে। আহতদের বাহুবল, হবিগঞ্জ ও সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্র জানায়, বাহুবল উপজেলার দুয়াইন্যা প্রকাশিত এ্যাইন্যা বিলটি প্রশাসন চলতি বছরে লিজ প্রদান করে স্থানীয় ইজ্জতপুর করাঙ্গী সমবায় সমিতিকে। উক্ত সমিতি বিলটি লীজ গ্রহণের পর স্থানীয় আলাপুর মসজিদ কমিটিকে সাব-লীজ প্রদান করে। অপরদিকে, পার্শ্ববর্তী শংকরপুর ও আশপাশের গ্রামবাসীর দাবি উক্ত বিলগুলো যুগের পর যুগ ধরে উন্মুক্ত অবস্থায় উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের লোকজন মাছ ধরে আসছে। সম্প্রতি কিছু লোক অন্যায় ভাবে বিলটি দখল করে সরকার থেকে লীজ নিয়েছে বলে দাবি করে আসছে। এ নিয়ে দু’গ্র“পে বেশ ক’দিন ধরে উত্তেজনা চলছিল। এ অবস্থায় সাব-লীজ গ্রহীতা দাবিদার আলাপুর প্রকাশিত ফতেহপুর গ্রামবাসী গত রবিবার ওই বিলে পাম্প স্থাপন করে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে পানি শুকাতে শুরু করে। বিলের পানি কিছুটা শুকালে সোমবার স্থানীয় শংকরপুর গ্রামের লোকজন বিলে মাছ ধরতে নামে। এ সময় সাব-লীজ গ্রহীতা দাবিদাররা বাঁধা প্রদান করে। এতে উভয় গ্র“পে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এদিকে গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত দুই গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে অর্ধশতাধিক লোকজন আহত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে বাহুবল, হবিগঞ্জ সদর ও সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। খবর পেয়ে বাহুবল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী ফরিদ আহমেদ ঘটনাস্থলে পৌছে রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। সংঘর্ষে আহতরা হলো আদম উল্লা (৫৫)শামিম (৩০) দুলা মিয়া (৬০), ইমাম উদ্দিন (২২), আলমগীর হোসেন (১৬), আবুল হোসেন (৩৪), কাজল মিয়া (৩৫), আব্দুস শহিদ (৪০), মতিন মিয়া (৫০), মোত্তালিব (৪৭), কাউছার মিয়া (২০), আশরাফ উদ্দিন (৪০), মোশাহিদ মিয়া (২৬), শেখ আরব আলী (৩৫), সিজিল মিয়া (২৮) সাহেব আলী (২৫), আশ্বব আলী (৩৫), আউয়াল (২৮), ওলি মিয়া (৩৯), বেনু মিয়া (৪০)।

বাহুবল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী ফরিদ আহমেদ জানান, সংঘর্ষে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ৪ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ৩ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।