জেলা জামায়াতের অফিস সিলগালা ॥ নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে ॥ ককটেলসহ আটক জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশের দুটি মামলা
তারিখ: ৬-অক্টোবর-২০১৫
জাকারিয়া চৌধুরী ॥

নাশকতা ও সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে বিস্ফোরক ও ককটেলসহ আটক জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার রাতে সদর থানার এসআই কৃষ্ণমোহন দেব নাথ ও শায়েস্তাগঞ্জ থানার এসআই মোখলেছুর রহমান বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন। পুলিশ জানায়, সদর থানায় নাশকতা ও সরকারের বিরুদ্ধে যড়যন্ত্রের অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে ও ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত করে এ মামলা করা হয়। অপরদিকে শায়েস্তাগঞ্জ থানায় বিস্ফোরক আইনে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়। গত রবিবার রাতে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে জামায়াত শিবিরের ২৫ জন নেতাকর্মীকে ককটেল, জিহাদী বই ও বিস্ফোরক তৈরীর সরঞ্জামসহ পৃথক স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করে পুলিশ। অভিযানে আটককৃতরা হলো, নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা জামায়াত আমীর মাওলানা আশরাফ আলী (৪৭), চুনারুঘাট উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের জারু মিয়ার পুত্র শায়েস্তাগঞ্জ ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক হুসাইন আহমদ (২২), শায়েস্তাগঞ্জ স্টেশন রোড এলাকার আকাশ খানের পুত্র শায়েস্তাগঞ্জ জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারী ইয়াছির খান (৩০), বানিয়াচং উপজেলার জাতুকুর্ণ পাড়ার মইন উদ্দিনের পুত্র ছাত্রশিবির কর্মী নিজাম উদ্দিন (১৮), শহরের মোহনপুর এলাকার জামায়াত নেতা এডভোকেট আব্দুস শহিদ (৬৫), বাহুবল উপজেলার পশ্চিম জয়পুর গ্রামের আব্দুল হক কাছনের পুত্র শিবির নেতা জহিরুল ইসলাম কয়েছ, লাখাই উপজেলার বদরুদ্দোজার পুত্র উপজেলা শিবিরের সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন (২৫),

শিবির কর্মী মামুনুর রহমান (৩৫), শায়েস্তাগঞ্জ নিজগাও গ্রামের তোফাজ্জল হকের পুত্র আজিজুল মিয়া (২৯), নবীগঞ্জ পারকুল উপজেলার মৃত কদর আলীর পুত্র ছানাউর আলী (৫২), নোয়াখালী সেনবাগ থানার মাতাইল গ্রামের তাজুল ইসলামের পুত্র মানিক মিয়া (২৫), সদর উপজেলার রায়ধর গ্রামের সামছু মিয়ার পুত্র শামীম মিয়া (২৬), সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাতপুর থানার শ্রীরামশ্রী গ্রামের শহিদুল ইসলামের পুত্র ইমরান আহমেদ (২৫), সুনামগঞ্জ জেলার ভালুরগাও গ্রামের তৈয়ব আলীর পুত্র সুফিয়ান মিয়া (২৯)।

এদিকে আটক জামাত-শিবিরের নেতাকর্মীদের নিয়ে গতকাল দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে প্রেস ব্রিফিং করা হয়। প্রেস ব্রিফিংএ সহকারী পুলিশ সুপার শহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, সারাদেশে জামাত শিবিরের নেতাকর্মীরা অস্থিতিশীল করে তোলেছে। এছাড়া তারা গোপন বৈঠকে নাশকতার চক তৈরী করেছিল। তিনি আরো জানান, গতকাল জামাত-শিবিরের অস্থায়ী কার্যালয় সিলগালা করা হয়েছে। পাশাপাশি জামাত-শিবিরের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানানা।

প্রথম পাতা
শেষ পাতা