নবীগঞ্জে আইনশৃংখলা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষের ঘটনায় ৩শ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা
তারিখ: ৩১-মে-২০১৬
নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥

নবীগঞ্জে নির্বাচনের দিন আইনশৃংখলা বাহিনীরসাথে এক প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের হামলা ও গাড়ি ভাংচুরের ঘটনার পর কয়েকটি গ্রাম পুরুষশুন্য হয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় নবীগঞ্জ থানার এসআই চাঁন মিয়া বাদী হয়ে চেয়ারম্যান আশিক মিয়াকে প্রধান আসামী ও ৪০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ২/৩শত লোকের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, গত শনিবার সন্ধ্যার পর নবীগঞ্জ উপজেলার ২নং বড় ভাকৈর পুর্ব ইউনিয়নের বাগাউড়া জালালিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা ভোট কেন্দ্র থেকে ভোট গননা শেষে ব্যালট বাক্সসহ সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং অফিসার, বিজিবি পুলিশের পাহারায় নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কন্টোল রুমে নিয়ে যাওয়ার সময় বাগাউড়া গ্রামের ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সাবেক মেম্বার আব্দুল হামিদ বাগাউড়া জামে মসজিদের মাইকে জানায় বিজিবি পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যরা আশিক মিয়া চেয়ারম্যানের ভোটের ব্যালট বাক্স ভোট গণনা না করেই ছিনতাই করে নিয়ে যাচ্ছে। এ খবর শুনা মাত্রই ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক আশিক মিয়ার ভাতিজা আবু বক্কর ও ছাত্রদল নেতা কাশেম মিয়ার নেতৃত্বে কয়েক শতাধিক কর্মী সমর্থক কাজির বাজারে রাস্তায় গাছ ফেলে ব্যালট বাক্স বহনকারী পুলিশ ও বিজিবির বহরে থাকা ৮টি গাড়ী আটক করে ব্যালট বাক্স আটকানোর চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ বিজিবি বাধা দিলে তাদের উপর কর্মী সমর্থকরা চড়াও হয়ে হামলা চালায়। এক পর্যায়ে আশিক মিয়ার কর্মী সমর্থকদের সাথে পুলিশ ও বিজিবির মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘর্ষ চলাকালে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করার ফলে পুলিশ বিজিবি আত্মরক্ষার্থে প্রায় ১৭ রাউন্ড সর্টগানের গুলি চুড়ে। এ সময় ৩ বিজিবি ২পুলিশ সদস্য ও হামলাকারীসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২০জন লোক আহত হয়। এ ঘটনার পর থেকে বাগাউড়া ও আশপাশের কয়েকটি গ্রামে গ্রেফতার আতংক বিরাজ করছে। এ ছাড়া ঘটনায় জড়িত ছাড়া ও সাধারন মানুষ গ্রেফতার আতংকে বিভিন্ন গ্রামে আশ্রয় নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ওই এলাকার সচেতন মহল।

প্রথম পাতা
শেষ পাতা