১২ বছর বয়সে নিখোঁজ ॥ ৬ বছর পর উদ্ধার ॥ চুনারুঘাটের এক কিশোরীকে ৩ বছরের সন্তানসহ ঢাকা থেকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব
তারিখ: ২৭-জুলাই-২০১৬
চুনারুঘাট প্রতিনিধি ॥

ঢাকার বাসা থেকে নিখোঁজের ৬ বছর পর তাসলিমা নামে চুনারুঘাটের ১ যুবতীকে ৩ বছরের সন্তানসহ উদ্ধার করেছে র‌্যাব। গত রবিবার ঢাকার মিরপুরের শাহ আলীর মাজার এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে উদ্ধার করে র‌্যাব-৪ এর একটি দল। গতকাল সোমবার তাকে সংশ্লিষ্ট আদালতের মাধ্যমে নিজ জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে। জানা যায়, চুনারুঘাট উপজেলার ডুলনা গ্রামের মৃত রইছ উল্লার ১২ বছরের কিশোরী কন্যা তাছলিমা আক্তার প্রায় ৬ বছর পূর্বে ঢাকার কাজীর বাজারস্থ জালাল আহমদ রনি নামে এক ব্যক্তির বাসায় ঝি-এর কাজ করারত অবস্থায় নিখোঁজ হয়। এ ঘটনার পর তাছলিমার মা মরিয়ম বেগম বাদী হয়ে বাসার মালিক জালাল আহমদ রনিসহ কয়েকজনকে আসামী করে একটি অপরহণ মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর ৩ মাস কারাভোগ করেন জালাল আহমদ রনি। বর্তমানে তিনি জামিনে থাকা অবস্থায় বিষয়টি র‌্যাব-৪ কে অবহিত করেন। এরই প্রেক্ষিতে গত রবিবার রাত ৯টায় ঢাকার মিরপুরস্থ শাহ আলীর মাজার সংলগ্ন একটি বাসা থেকে তাছলিমাকে তার ৩ বছরের ১ সন্তানসহ উদ্ধার করে র‌্যাব-৪ এর একটি দল। পরে জালাল আহমদ রনি র‌্যাব-৪ কার্যালয়ে গিয়ে তাছলিমাকে সনাক্ত করে চুনারুঘাট থানায় যোগাযোগ করেন। এরপর রাত ৩টায় পুলিশের একটি দল তাছলিমাকে চুনারুঘাট থানায় নিয়ে আসে। গত সোমবার আদালতের মাধ্যমে তাকে নিজ জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়।

উদ্ধারের পর তাছলিমা সাংবাদিকদের জানায়, জালাল আহমদ রনির বাসায় যাওয়ার পর থেকেই তাকে নির্যাতন করত রনির স্ত্রী। অতিকষ্টে ৩ বছর সেখানে থাকার পর সে পালিয়ে গিয়ে ঢাকার মিরপুরস্থ একটি গার্মেন্টেসে শ্রমিক হিসেবে কাজ নেয়। সেখানে পরিচয় হয় বরিশালের রাসেল নামে এক যুবকের সাথে। এরপর এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে বিয়ে হয়। বর্তমানে জান্নাত নামে তার ৩ বছরের একটি সন্তান রয়েছে। 

এদিকে, এলাকাবাসী জানান, তাছলিমা নিখোঁজের পর থেকে মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েন তার মা মরিয়ম বেগম। গত কিছুদিন পূর্বে এলাকা ছেড়ে কোথায় জানি চলে যান মরিয়ম।

প্রথম পাতা