হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বদলী ॥ নবীগঞ্জে তন্নী হত্যা ॥ খুনিরা কি পুলিশের নেটওয়ার্কের বাহিরে ॥ জনমনে নানা প্রশ্ন !
তারিখ: ২৮-সেপ্টেম্বর-২০১৬
স্টাফ রিপোর্টার ॥

নবীগঞ্জের চাঞ্জল্যকর তন্নী রায় হত্যাকান্ড ফুল ফোটার আগেই যেন কলি ঝড়ে গেল। কারন তন্নী রায় নামট এতদিন অচেনা থাকলেও তার লাশ পাওয়ার পর নবীগঞ্জ উপজেলা তথা হবিগঞ্জের সবত্র আলোচিত হয়ে উঠেছে। এখন সবার মুখে একটাই উচ্চারন তন্নী হত্যার বিচার চাই। তন্নী নবীগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের মেধাবী ছাত্রী ছিল। সে চলতি বছর কৃতীত্বের সাথে এইচ এস সি পাশ করে। বাবা মায়ের খুব আদরের মেয়ে এবং ভাইয়ের একমাত্র বোন। তন্নীকে নিয়ে অনেক আশা ছিল পরিবারের লোকজনের। দুই ভাই বোনের মধ্যে তন্নী রায় ছোট। কিন্তু কেউ কি জানতো যে ফুল ফোটার আগেই কলি ঝড়ে যাবে। এদিকে, তন্নী নিখোজের দশ দিন এবং লাশ উদ্ধারের সাত দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও তন্নীর হত্যাকারী  খুজে পাওয়া যাচ্ছেনা এবং তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছেনা। অপরাধীরা পুলিশের নেটওয়ার্কের বাহিরে নাকি অপরাধীদের নেটওয়ার্ক পুলিশের নেটওয়ার্কের চেয়ে গতিশীল এমন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে জনমনে। ঘটনার পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই কোন না কোন সংগঠনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হচ্চে মানববন্ধন ও পথসভা। বক্তৃক্তাকালে বক্তারা পুলিশের ভূমিকা ও লাশ উদ্ধারের পর রহস্য উদঘাটনের কতদূর এগোচ্ছে। এ নিয়ে নানা বক্তব্য দেন এবং কঠোর আন্দোলনে নামার হুশিয়ারীও দেন বক্তারা। এরপরও পুলিশের টনক নড়ছে না। এছাড়া তন্নী হত্যাকান্ডের পর রানু তার প্রেমিক রানু ও তার পরিবার দেশে না সীমান্ত পাড়ী দিয়ে ভারত চলে গেল এ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা সমালোচনা। এতে একদিকে যেমন দেখা দিয়েছে চাপা ক্ষোভ অন্যদিকে নিহতের পরিবারে চলছে শোকের মাত্তম। তারা রয়েছেন চরম হতাশায়।

এদিকে, চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকান্ডের তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোবারক হোসেনকে বদল করে নতুন তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে ওসি তদন্ত কামরুল হাসানকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।

প্রথম পাতা
শেষ পাতা