সেরা সাঁতারুর খোঁজে বাংলাদেশ টিম এখন হবিগঞ্জে ॥ আমাকে প্রতিভা দেন আমি সেরা সাতারু তৈরি করব-তেগুন পার্ক
তারিখ: ২৮-সেপ্টেম্বর-২০১৬
স্টাফ রিপোর্টার ॥

সদ্য সমাপ্ত সাফ গেমস এ বাংলাদেশ জিতে তিনটি স্বর্ণ পদক। এর মাঝে সাতারু মাহফুজা আক্তার শীলা জিতেন একাই দুটি। আর এর নেপথ্য নায়ক ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ান কৃতি কোচ তেগুন পার্ক। এবার তিনি মিশনে নেমেছেন প্রতিভা অন্বেষনে। তিনি চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন যদি তাকে প্রতিভা দেয়া হয় তাহলে আগামী সাফ গেমসএ তিনি ১০টি স্বর্ণ পদক এনে দিবেন। তেগুন পার্কের এমন আশ্বাসের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীর প্রধান ও সাঁতার ফেডারেশন এর সভাপতি নিজাম উদ্দিন আহমেদ এর উদ্যোগে গ্রহণ করা হয় সেরা সাঁতারুরর খোঁজে বাংলাদেশ কর্মসূচি। ৬০টি জেলা ভ্রমণ শেষে ওই টিম এখন হবিগঞ্জে। কমান্ডার এস এম মাহমুদুর রহমান (সি), পিএসসি, বিএন এর নেতৃত্বে ৪৬ সদস্যের একটি টিম হবিগঞ্জে এসেছে। সেই টিমে রয়েছেন তেগুন পার্ক স্বয়ং। আজ সকাল ৯টায় হবিগঞ্জ আনসার পুকুরে অনুর্ধ ১৮ বছর বয়সী ছেলে মেয়েদের বাছাই শেষে সেরাদেরকে দেয়া হবে ইয়েস কার্ড। যারা ইয়েস কার্ড পাবেন তারা জাতীয় পর্যায়ে প্রশিক্ষণের সুযোগ পাবেন। এমনকি নৌ-বাহিনীসহ বিভিন্ন বাহিনীতে তাদের চাকুরীরও সুযোগ সৃষ্টি হবে। তেগুন পার্ক জানান, তার কোচিং ক্যারিয়ারে ৩ জন অলিম্পিকের স্বর্ণ পদক, ৫ জন বিশ্ব সাতারের স্বর্ণ পদক পেয়েছে। কমনওয়েলথ গেমস, সাফ গেমসএ পেয়েছে আরও অনেকেই স্বর্ণ পদক। ২০০৯ সালে তিনি বাংলাদেশে প্রথম আসেন। এর পর তিনি চাঁদপুর, কুষ্টিয়া, রাজশাহী ও চাপাইনবাবগঞ্জে গিয়ে ৪জনকে বাছাই করে আনেন। এখন ৪ জনই জাতীয় সাতারু। এর মাঝে নৌ-বাহিনীর নাজমা দেশের এ নম্বর সাতারু। টিম লিডার কমান্ডার এস এম মাহমুদুর রহমান জানান, এখন পর্যন্ত ৬০টি জেলায় ৮ হাজার ২০৬জন ট্রায়ালে অংশগ্রহণ করেন। এর মাঝে ছেলে ৭ হাজার ৪৮২জন এবং মেয়ে ৭২৪জন। ইয়েস কার্ড পেয়েছে ১ হাজার ১৩৭জন। ছেলে পেয়েছে ৮৭১ জন এবং মেয়ে পেয়েছে ২৬৬জন। তিনি আরও জানান, এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে ৬/৭ কোটি টাকা খরচ হবে। স্পন্সর হিসাবে সহযোগিতা করেছে এস আলম গ্র“প, সেনা কল্যাণ সংস্থা, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। বাছাইকৃত খেলোয়াড়দেরকে বিজ্ঞান ভিত্তিক ও আধুনিক কলা-কৌশল নিয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।

প্রথম পাতা
শেষ পাতা