সদর হাসপাতালে চিকিৎসার অবহেলায় প্রসুতি মহিলার মৃত্যুর অভিযোগ
তারিখ: ২৮-সেপ্টেম্বর-২০১৬
নিরঞ্জন গোস্বামী শুভ ॥

হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসায় অবহেলার কারণে প্রসুতি মহিলার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রোগীর স্বজনদের সাথে হাসপাতালের কর্মচারিদের সাথে বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। সদর উপজেলার লুকড়া ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের নাসিমার স্বামী আহম্মদ আলী জানান, মঙ্গলবার দুপুর ১টায় বাড়িতে নাসিমার প্রসব ব্যথা উঠে। কিছুক্ষণ পর একটি মৃত নবজাতক প্রসব করে। এতে নাসিমা অসুস্থ হয়ে পড়লে দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে তাকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।  ডাক্তার তার অবস্থা আশংকাজনক দেখে ঔষধপত্র ও রক্ত দেবার পরামর্শ দেন। কিন্তু সময় মতো ওই ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত নার্স প্রীতি রাণী তার সেবা প্রদান করেননি। ফলে নাসিমা ২ টা ৪৫ মিনিটে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। তার স্বামী আরো জানান, রক্ত ও ঔষধ সরবরাহ করে নার্সের হাতে দিলে তিনি সময়মতো নাসিমার শরীরে সরবরাহ করেননি। ফলে তার স্ত্রী মারা যায়। তবে হাসপাতালের নার্স প্রীতি রাণী জানায় রোগিকে ওর্য়াডে ভর্তি করার পরেই আমরা তাকে চিকিৎসা দেয়া শুরু করি। কিন্তু ওই মহিলার স্বজনেরা হাসপাতালে নিয়ে আসার পরেই তার অবস্থা খারাপ ছিল। এ ব্যাপারে ডাক্তার বজলুর রহমান জানান, নাসিমাকে আশংকাজনক অবস্থায় নিয়ে আসা হয়। আমরা সাধ্যমতো চিকিৎসা দিয়েছি। এ ব্যাপারে কেউ অবহেলা করেনি।

এ ব্যাপারে আরো জানা যায়, স্বঘোষিত ডাক্তার নুরুল ইসলামের স্ত্রী ওই হাসপাতালের সিনিয়র নার্স যিনি ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। উল্লেখ থাকা আব্যশক যে তিনি ইতিপূর্বে বানিয়াচং হাসপাতালে থাকাকালীন সময়ে চোরাইপথে ঔষধ বিক্রির কারনে হাজত বাস করেছেন।

প্রথম পাতা
শেষ পাতা