বাহুবলে চাঞ্চল্যকর ৪ শিশু হত্যা মামলায় দুই জনের সাক্ষ্য গ্রহন
তারিখ: ১৫-অক্টোবর-২০১৬
নিরঞ্জন গোস্বামী শুভ ॥

বাহুবলে চাঞ্চল্যকর চার শিশু হত্যা মামলায় আরো দুই জন সাক্ষ্য দিয়েছে। এ নিয়ে মোট ৫ জন সাক্ষী সাক্ষ্য প্রদান করেছে। গতকাল সোমবার সাক্ষ্য গ্রহনের নির্ধারিত ধায্য তারিখে কারাগারে থাকা আসামী পঞ্চায়েত প্রধান আব্দুল আলী, তার দুই ছেলে রুবেল মিয়া ও জুয়েল মিয়া, তার সেকেন্ড ইন কমান্ড আরজু মিয়া ও শাহেদ মিয়াকে করা নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচার মোঃ আতাবুল্লাহ আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে বাহুবল উপজেলার সন্দ্রাটিকি গ্রামের কাজল মিয়া ও একই গ্রামের মিজানুর রহমান তালুকদার সাক্ষ্য প্রদান করেন। দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত তাদের সাক্ষ্য গ্রহন শেষে আজ মঙ্গলবার আবারো সাক্ষ্য গ্রহনের তারিখ নির্ধারণ করেন আদালত। মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবি এডভোকেট ত্রিলোক কান্তি চৌধুরী বিজন জানান, আদালত আরো দুই জনের সাক্ষ্য গ্রহন করেছে ফলে এ মামলায় মোট ৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহন করা হয়েছে। গত ১২ ফেব্র“য়ারী জেলার বাহুবল উপজেলার সুন্দ্রাটিকি গ্রামের মোঃ ওয়াহিদ মিয়ার পুত্র জাকারিয়া আহমেদ শুভ (৮), তার চাচাত ভাই আব্দুল আজিজ-এর পুত্র তাজেল মিয়া (১০) ও আবদাল মিয়ার পুত্র মনির মিয়া (৭) এবং তাদের প্রতিবেশী আব্দুল কাদির-এর পুত্র ইসমাঈল হোসেন (১০)। খেলতে গিয়ে নিখোজ হয়। নিখোজের ৫দিন পর  ১৭ ফেব্র“য়ারী গ্রামের পাশ্ববর্তী স্থানে ৪ শিশুর মাটিচাপা অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় দেশে বিদেশে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা সৃষ্টি হয়। ঘটনার পরদিন ১৮ ফেব্র“য়ারী নিহত শিশু মনিরের পিতা আব্দাল মিয়া বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে ডিবি পুলিশের তৎকালিন ওসি মোকতাদির আলম তদন্ত করে গত ৫ এপ্রিল ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। এরপর মামলাটি নারী শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে প্রেরণ করা হয়। গত ২৮ জুন নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুন্যনাল এর বিচারক কিরন শংকর হালদার এর আদালতে চার্জশীটের উপর শুনানী শেষে আদালত চার্জশীট আমলে নিয়ে পলাতক ৩ আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন। এর পর আদালত ২৬ জুলাই আসামীদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন। এর পর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শংকর হালদার অন্যত্র বদলী হওয়ার কারনে মামলাটির অতিরিক্ত দায়িত্ব নেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ আতাবুল্লাহ।