বানিয়াচঙ্গে প্রতিবন্ধির টাকা আত্মসাত করে হজম করতে পারেনি ইউপি মেম্বার!
তারিখ: ২৯-মার্চ-২০১৭
বানিয়াচং প্রতিনিধি ॥

বানিয়াচং উপজেলার ১৩নং মন্দরী ইউনিয়নের ৯নং (দুলালপুর) ওয়ার্ডের মেম্বার ব্রজলাল দাস প্রতিবন্ধি অরুনোদয় চক্রবর্তীর ভাতার টাকা মেরে হজম করতে পারেননি। অবশেষে  ফেরত দিতে হল আত্মসাতকৃত সেই টাকা। জানা যায়, ওই ওয়ার্ডের মেম্বার ব্রজলাল দাস গত বছর জাল টিপসই দিয়ে প্রতিবন্ধি অরুনোদয়ের জুলাই-১৫ থেকে জুন-১৬’র ভাতা বাবদ ৬ হাজার টাকা উত্তোলন করে ফেলেন। আর সেই টাকা উত্তোলন করেন গত বছরের ২৮ আগস্ট। বানিয়াচং সোনালী ব্যাংক শাখা যাহার হিসাব নং-০১০১১২৯৮। বই নং-১৩৩৫। পরে অরুনোদয় উক্ত এলাকার মেম্বার ব্রজলাল দাসের কাছে জানতে চাইলে তাকে বিভিন্ন রকমের ভয়ভীতি দেখান।

গত সোমবার প্রতিবন্ধি অরুনোদয় নিজে চলতি বছরের ৩ হাজার ৬০০ শত  টাকা ওই ব্যাংক থেকে উত্তোলন করার পর ১ হাজার ৫০০ শত টাকা মেম্বার ব্রজলাল দাসকে দেয়ার জন্য বিভিন্ন ধরণের চাপ সৃষ্টি করতে থাকেন। বিষয়টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ সামছুল হককে জানালে তিনি মঙ্গলবার বিষয়টি উক্ত পরিষদে মিটমাট করে দেয়ার কথা বলেন। পরবর্তীতে অরুনোদয় গতকাল মঙ্গলবার প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সন্দ্বীপ কুমার সিংহ,উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ বশীর আহমেদের কাছে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিষয়টি অবগত করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তাৎক্ষনিক মেম্বার ব্রজলাল দাসকে তার কার্যালয়ে হাজির হতে বলেন। বিকালে হাজির হয়ে ব্রজলাল টাকা উত্তোলনের কথা অকপটে স্বীকার নেন ইউএনওর কাছে। আগামীতে এইরকম আর হবেনা মর্মেও মৌখিকভাবে জানান মেম্বার ব্রজলাল। পরে ইউএনও সন্দ্বীপ কুমার সিংহ, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ বশীর আহমেদ, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার জালাল উদ্দিন, যুবউন্নয়ন অফিসার সারোয়ার সুলতান, সাংবাদিক ফোরামের সেক্রেটারি রায়হান উদ্দিন সুমন, যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাহিবুর রহমানসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে গেল বছরের উত্তোলনকৃত ৬ হাজার টাকা প্রতিবন্ধি অরুনোদয়ের হাতে তুলে দেন ব্রজলাল।

প্রথম পাতা