ক্ষতিপূরণ চেয়ে কৃষকদের কৃষি বিভাগে আবেদন ॥ গুঙ্গিয়াজুড়ি হাওরে হাইব্রীড ইস্পাহানি-৭ ধান আবাদে নষ্ট হয়ে গেছে ৫০ একর জমি ॥ সর্বশান্ত কৃষকরা
তারিখ: ২৯-মার্চ-২০১৭
জাকারিয়া চৌধুরী ॥

বানিয়াচঙ্গের গুঙ্গিয়ারজুড়ি হারওরে উচ্চ ফলনের প্রলোভনে পড়ে প্রায় ৫০ একর জমিতে ইস্পাহানি-৭ নামে হাইব্রীড জাতের ধান চাষ করে বানিয়াচং উপজেলার উজিরপুর গ্রামের অর্ধশতাধিক পরিবার। বীজ বপনের পর থেকেই দেখা যায় নানান জটিলতা। সে সব ধাপ পেরিয়ে এখন ধান হওয়ার পর্যায়ে এসে মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পরেছে কৃষকদের। ধান চারা থেকে বের হওয়া থোড়ে চাল নেই আছে শুধুই চিটা। মাথায় ঘাম পায়ে ফেলে, মহাজনদের কাছ থেকে ঋণ করে চাষ করা এসব কৃষকরা এখন সর্বশান্ত হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় প্রতারক ওই কোম্পানীর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনে আইনানুগ ব্যবস্থা ও ক্ষতিপূরণ চেয়ে ১৮ জন কৃষক আবেদন জানিয়েছেন কৃষি বিভাগের কাছে। এদিকে, সরেজমিনে গুঙ্গিয়াজুড়ি হাওরে গিয়ে দেখা যায়, হাইব্রীজ ইস্পাহানি জাতের ধানের চারায় থোড়ের পরিবর্তে চিটা দেখা দিয়েছে। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে থোড়। ফলে ধান’ত দুরের কথা ক’দিন পড়ে খড় হয়ে পড়ে খাকবে ওইসব জমিতে চাষ করা ইস্পাহানি ৭ নামের ধান। অপরদিকে, কৃষকদের সাথে আলাপচারিতায় জানা যায়, চারা রোপনের সময় ওই কোম্পানির লোকজন উচ্চ ফলনের আসা দিয়ে বীজ ক্রয় করতে উৎসাহ দেখায়। যা এখন মরার উপর খারার গা’ হয়ে দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে ওই কোম্পানির স্থানীয় ডিলার আলী আমজাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি তিনি বিক্রয় প্রতিনিধিদেরকে জানিয়েছেন। কৃষকদের সাথে আলোচনা করে মিমাংসার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসার মোস্তফা ইকবাল আজাদ জানান, কোম্পানীর প্রলোভনে পড়ে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। আগে যোগাযোগ করা হলে তারা ওই ধান চাষাবাদে নিরুৎসাহিত করতেন বলে জানালেন ওই কৃষি কর্মকর্তা। এ ব্যপারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা বশির আহম্মদ সরকার জানান, ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সেই সাথে তার পরামর্শ হাইব্রীড ধান বাদ দিয়ে দেশীয় প্রজাতির উচ্চ ফলনশীল ধান আবাদে লাভবান হবেন কৃষকরা। অপরদিকে, শুধু ক্ষতিপুরণ নয় প্রতারণার দায়ে ওই কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি স্থানীয় কৃষকদের।

প্রথম পাতা