বানিয়াচঙ্গে মামলার বাদীকে মারধোর করে ঘরবাড়ি ভাংচুর করেছে আসামীপক্ষের লোকজন
তারিখ: ২৯-মে-২০১৭
স্টাফ রিপোর্টার ॥

বানিয়াচঙ্গে তাতারি মহল্লার আকল আলীর পুত্র আশিক মিয়া মামলা করেও স্বপরিবারে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে আসামীদের ভয়ে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১১ মার্চ এবং ১২ মার্চ, পর ২দিন মৃত এয়াকুব আলীর পুত্র-আবু কালাম (৫৮) এর নেতৃত্বে আবু কালামের পুত্র-আব্দুল বারিক (২৯), মোঃ ময়না মিয়া (২২), মোঃ বাছিক মিয়া (৩২), সেলিম মিয়া (২৫), আব্দুল হালিপ (৩৫), নিম্বর উল্লার পুত্র- তফিক মিয়া (৪২), রফন আলী (২৬), আব্দুল বারিকের স্ত্রী-সেলিমা বেগম (২৫), বাছিক মিয়ার স্ত্রী-মায়ারূপ বেগম (২৮), আবু কালামের স্ত্রী-আবেদা বেগম (৩৫), তফিক মিয়ার স্ত্রী- রাহিমা বেগম(৩৭) আশিক মিয়া ও তার পিতা আকল আলীকে বাড়ির সীম সীমানা নিয়ে বিরোধের জের ধরে গুরুতর আহত করলে আশিক মিয়া বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট(কগ-৪) আদালতে মামলা করলে বিজ্ঞ আদালত এফআইআর গন্যে নিয়মিত মামলা রুজুর আদেশ বানিয়াচং থানাকে। মামলাও রুজু হয় যথারীতি। বানিয়াচং থানার মামলা নং ২৯, তারিখঃ ২৮/০৩/২০১৭ইং, ধারাঃ ১১৪/ ১৪৩/ ১৪৪/ ১৪৯/ ৩০৭/ ৩২৩/ ৩২৬/৩২৬/৩৮৬/৪৪৭/৪৪৮/৫০৬(২)/৩৪ দঃবিঃ, যাহার জিআর নং ৭৭/১৭ইং(বানি)। উক্ত মামলায় ৪-১২নং আসামীগন ৫এপ্রিল ২০১৭ইং তারিখে আদালতে হাজির হয়ে জামিনে যায়। ১নং আসামী আব্দুল বারিককে ১৫ মে ২০১৭ইং তারিখে গ্রেফতার করে বানিয়াচং থানার পুলিশ ময়না মিয়া ও বাছিক মিয়া রয়েছে পলাতক। এদিকে জামিনে গিয়েই আসামীরা বাদী আশিক মিয়াকে মামলা উঠাইয়া নেওয়ার জন্য ভয় ভীতি প্রদর্শন করতে থাকে। প্রতিকার চেয়ে আশিক মিয়া এলাকার মুরুব্বিও মেম্বার, চেয়ারম্যানের দ্বারস্থ হলেও আসামীরা মেম্বার, চেয়ারম্যানের আদেশ নিষেধ অমান্য করে আশিক মিয়াকে মামলা উঠাইয়া নেওয়ার জন্য চাপ চাপি সহ প্রাণে হত্যার ভয় ভীতি দেখাতে থাকে। বাধ্য হয়ে আশিক মিয়া বাড়ি ঘর ফেলে শশুর বাড়িতে সপরিবারে আশ্রয় নেয়। গত ২৬ মে আশিক মিয়ার স্ত্রী তাসলিমা তাহার ভাই আমীর হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে দুপুর অনুমান ২.০০ ঘটিকার দিকে বাড়িতে আসলে  আবু কালাম গং দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র- লোহার রড, লাঠি সোটা নিয়ে আশিক মিয়ার ঘর দরজা ব্যাপকভাবে ভাংচুর ও লুটপাটসহ তাসলিমা ও আমীর হোসেনকে মারপিট করে আহত করে। খবর পেয়ে আশিক মিয়া স্থানীয় মেম্বার মোঃ আব্দুস ছালাম ও ৩নং ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ হাবিবুর রহমানকে জানাইয়া বাড়িতে গেলে আবু কালাম গং তাকেও হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমন করলে প্রাণ বাঁচাতে দৌড়ে পলায়ন করে। বর্তমান মেম্বার মোঃ আব্দুস ছালাম ঘটনাস্থলে গিয়ে আসামীদের আইন আদালতের দোহাই দিয়ে নিবৃত করার চেষ্টা করেন। আসামীরা উক্ত মেম্বারসহ উপস্থিত মুরুব্বিয়ানদের ডাক দোহাই অমান্য করে আশিক মিয়ার ঘরের দরজা জানালা, সুকেস ইত্যাদি ভাংচুর করে ভাংচুরকৃত জিনিসপত্র নিজেদের ঘরে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে মেম্বার মোঃ আব্দুস ছালামের সাথে যোগাযোগ করা হলে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আবু কালাম তার ৪ পুত্র, পুত্র বধু, ভাই ভাতিজা ১২/১৩ জন লোক নিয়া লোহার রড, লাঠি সোটা নিয়া আশিক মিয়ার ঘর, দরজা, ফার্নিচারসহ আসবাবপত্র ভাংচুর করে ভাঙ্গা জিনিস পত্র তাদের ঘরে নিয়ে যেতে দেখেছি, আমি সহ উপস্থিত লোকজন বাধাঁ নিষেধ করলেও তারা অমান্য করে আশিকের বউ শালাকে মারপিট করেছে।

এদিকে এ প্রতিবেদককে সাথে মোবাইল ফোনে স্থানীয় চেয়ারম্যান এর সাথে আলাপকালে জানান, আবু কালাম ও তার ছেলে ভাতিজারা খুবই বেপরোয়া। গত ২৬ মে আবু কালাম ও তার ৪ পুত্র- মোঃ ময়না মিয়া(২২), মোঃ বাছিক মিয়া(৩২), সেলিম মিয়া(২৫), আব্দুল হালিপ (৩৫), নিম্বর উল্লার পুত্র-তফিক মিয়া (৪২), রফন আলী (২৬), আব্দুল বারিকের স্ত্রী-সেলিমা বেগম(২৫), বাছিক মিয়ার স্ত্রী- মায়ারূপ বেগম (২৮), আবু কালামের স্ত্রী-আবেদা বেগম (৩৫), আশিকের ঘরে ডুকে লোহার রড, লাঠি, সোটা দিয়ে জিনিস পত্র ভাংচুর করেছে এবং আশিকের বউ ও তার শ্যালককে মারপিট করেছে মর্মে প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় মেম্বার ও মুরুব্বিয়ান আমাকে অবহিত করেছেন, আশিকও আমাকে এ বিষয়ে আমাকে জানিয়েছে। আমি তাকে আইনের আশ্রয় নিতে বলেছি।

প্রথম পাতা
শেষ পাতা