মাদ্রাসায় যাওয়া নিয়ে বাপ-ছেলের বিতর্কের জের ॥ নবীগঞ্জে মাদ্রাসা পড়–য়া ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা করেছে পিতা ॥ ঘাতক আটক
তারিখ: ২৯-মে-২০১৭
নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥

নবীগঞ্জে সন্তানকে কুপিয়ে হত্যা করেছে পাষন্ড পিতা। এ ঘটনায় স্থানীয় জনতা পিতাকে আটক করে উত্তম-মধ্যম দিয়ে পুলিশে সোর্পদ করেছে। পুলিশ জানায়, নবীগঞ্জ উপজেলার করগাও ইউনিয়নের সর্দারপুর গ্রামের আদম আলী রবিবার দুপুরে তার মাদ্রাসা পড়–য়া ছেলে এনামুল হক (১৫) কে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কুপিয়ে আহত করে। এ সময় বাড়ির লোকজন শোর চিৎকারশুরু করলে স্থানীয় লোকজন এসে গুরুতর আহত অবস্থায় এনামুল হককে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করলে সে মারা যায়। এ খবর এলাকায় পৌছলে স্থানীয় লোকজন ঘাতক পিতা আদম আলীকে আটক করে উত্তম-মধ্যম দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন। নিহত এনামুল হক আদম আলীর ৭ ছেলে মেয়েদের মধ্যে সবার ছোট ছেলে। স্থানীয় সে বালিধারা হাফিজিয়া মাদ্রাসা কোরআনে হাফেজ লাইনে পড়াশুনা করত। এলাকাবাসী জানিয়েছে সম্প্রতি নিহত এনামুল মাদ্রাসা থেকে বাড়িতে চলে আসে। এ নিয়ে গতকাল বাপ-ছেলে মাদ্রাসায় যাওয়া না যাওয়া নিয়ে তর্কে বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে। এলাকাবাসি জানিয়েছেন আদম আলী বিগত ১০ /১২ বছর আগে পৌর এলাকার রাজাবাদ গ্রামের এক ব্যাক্তির একটি হাত কেটে ফেলার দায়ে ৫ বছর কারা ভোগ করে জামিনে আসেন।

স্থানীয়রা জানিয়েছে ঘাতক আদম আলী একজন মানষিক রোগী। কথায় কথায় সে উত্তেজিত হয়ে উঠে। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, পুলিশ ঘাতক পিতাকে আটক করেছে। এ ব্যাপারে একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল।

প্রথম পাতা
শেষ পাতা