বিপদসীমার ২৩০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত ॥ খোয়াই নদীর ভাঙ্গন আতংকে শহরবাসীর নির্ঘুম রাত ॥ দেশীয় অস্ত্র হাতে এলাকাবাসীর বাঁধ পাহাড়া
তারিখ: ২০-জুন-২০১৭
জাকারিয়া চৌধুরী ॥

শহরে খোয়াই নদী ভাংঙ্গন আতংকে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছে হবিগঞ্জবাসি। উজান থেকে নেমে আসা ভারী বর্ষন ও পাহারি ঢলের কারণে খোয়াই নদীর পানি বিপদসিমার ২৩০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বাড়ার ফলে শহর প্রতিরক্ষা বাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। শহরের কামড়াপুর ব্রীজ পয়েন্টে, মাছুলিয়া পয়েন্টে ও তেতৈয়া ব্রীজ পয়েন্টে ঝুকিপুর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এদিকে, গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে হবিগঞ্জ শহরে গুজব উঠে কামড়াপুর ব্রীজ সংলগ্ন বাঁধটি ভেঙ্গে গেছে। ফলে শহরজুরে মানুষের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। মুর্তের মধ্যেই কামড়াপুর ব্রীজ সংলগ্ন বাধ এলাকায় হাজার হাজার উৎসুখজনতা ভীড় জমায়। কেউ কেই আবার ভাঙ্গনে পানি আতংকে বাসা বাড়ি থেকে মালামাল সরিয়ে নিতেও দেখা দিয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাঁধটিতে ফাটল দেখা দিয়েছে। ফলে প্রশাসনের সহযোগীতায় স্থানীয় লোকজন বালুর বস্তা ফেলে পানি প্রবেশ বন্ধ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সন্ধ্যায় মাইকিং করে খোয়াই নদীর পাড়ের বসবাসকারী ও শহরবাসীকে সর্তক থাকার আহ্বান জানানো হয়। অভ্যন্তরীন পানি বৃদ্ধির প্রবাহ কম হলেও সোমবার সকালে ভারতের খোয়াই মহকুমায় অবস্থিত খোয়াই ব্যারেজের বাঁধ খুলে দেয়ায় দ্রুত গতিতে পানি চলে আসছে বাংলাদেশে।

এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী মোঃ তাওহিদুল ইসলাম জানান, সোমবার বিকেল থেকে হবিগঞ্জ ও ভারত এলাকায় প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য থেকে নেমে আসা পাহারি ঢলে খোয়াই নদীর পানি দ্রুত গতিতে বেড়েই চলছে। অপরদিকে, কামড়াপুর ব্রীজ পয়েন্টে বাঁধ মেরামতের সময় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা বালু, মাটি ও বস্তার ব্যবস্থা করে দেন। তবে স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ পর্যাপ্ত পরিমান বালু ও বস্তা না থাকায় মেরামতের কাজ করতে সময় লাগছে।

এদিকে রাতে শহরের মাছুলিয়া পশ্চিম দিকে ভাঙ্গনের চেষ্টা করা হলে এলাকার লোকজন দেশীয় অস্ত্রহাতে রাত জেগে বাধ পাহাড়া দেয়। এ অবস্থায় এলাকার লোকজন আতংক ও উৎকন্ঠায়রয়েছে।

অপরদিকে, নদীর পাড়ের বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করায় ঘরের মালামালসহ লোকজনদেরকে সরিয়ে নিতে দেখা গেছে।

প্রথম পাতা