বাহুবলের কাজিকাটায় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত আমান উল্লাহ মারা গেছে
তারিখ: ২৫-জুন-২০১৭
স্টাফ রিপোর্টার ॥

বাহুবল উপজেলার কাজিহাটা গ্রামের প্রতিপক্ষের হামলায় আহত আমান উল্লাহ মারা গেছেন। মঙ্গলবার বিকালে তিনি মারা যান। সূত্র জানায়, কাজী হাটা গ্রামের আমান উল্লাহ (৪৫) সাথে দীর্ঘদিন ধরে একই গ্রামের মর্তুজ আলী গংদের বিরোধ চলছিল। এই বিরোধের জের ধরে মর্তুজ আলী গং গত ২৮ মার্চ নিহত আমান উল্লাহ’র স্ত্রী লিল বানুর শরীরে এসিড নিক্ষেপ করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ব্যাপারে আমান উল্লাহ বাদী হয়ে বাহুবল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনার পর দিন মর্তুজ আলী গং আমান উল্লাহ উপর হামলা চালায় এবং তাকে গুরুতর জখম করে। স্থানীয় লোকজন প্রথমে তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্মরত চিকিৎসক আশংকা জনক অবস্থায় তাকে সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে তিনি ২৬/২৬দিন চিকিৎসা নেয়ার পর বাড়িতে চলে আসেন। আমান উল্লাহ আহতের ঘটনায় তার ছেলে মানিক মিয়া বাহুবল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এদিকে বাড়িতে নিয়ে আসার পর আমান উল্লাহ অবস্থা দিন দিন অবনতি হতে থাকে। পরিবারের অভাবে কারণে তাকে উন্নত চিকিৎসা দিতে না পরায় জখমে আঘাত নিয়েই গত ২০ জুন মঙ্গলাবার বিকেলে আমান উল্লাহ মৃত্যু বরণ করেন। এরপর পুলিশ তার লাশ উদ্ধার হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ময়না তদন্ত সম্পন্ন করা হয়। পরের দিন বাড়িতে নিয়ে তার লাশের দাফন করা হয়। এ ঘটনার পর পরই মর্তুজ আলী ও তার লোকজন বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে। নিহত আমান উল্লাহ’র ছেলে মানিক মিয়া তার বাবার হত্যাকারীদের গ্রেফতারের জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।