অবশেষে ৩ দিন মর্গে থাকার পর ময়নাতদন্ত হল বাহুবলের স্কুল ছাত্রী নাইমার
তারিখ: ১৩-অগাস্ট-২০১৭
জাকারিয়া চৌধুরী ॥

অবশেষে ৩ দিন মর্গে পড়ে থাকার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হল বাহুবলে স্কুল ছাত্র নাইমার। গতকাল শনিবার দুপুরে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের ৫ জন ডাক্তারের সমন্বয়ে গঠিত বোর্ড ময়না তদন্ত সম্পন্ন করে। নাইমা উপজেলার সোয়াইয়া গ্রামের ফরিদ মিয়ার কন্যা। সে স্থানীয় সোয়াইয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী। ময়নাতদন্ত শেষে নাইমার লাশ বাড়িতে নিয়ে জানাজা শেষে তাকে গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এদিকে, হত্যাকান্ডের তিন পেরিয়ে গেলেও এখন এ বিষয়ে কোন মামলা দায়ের করা হয়নি।

প্রসঙ্গত, পুলিশের ছুরতহাল রিপোর্টে ক্রুটি থাকার কারণে ৩ দিন যাবত মর্গে পড়ে থাকে তার লাশ। করা হয়নি ময়নাতদন্ত। গত শুক্রবার রাতে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করতে সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে এ বিষয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সিভিল সার্জন সুচিন্ত চৌধুরী ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করতে ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দেন। গতকাল শনিবার দুপুরে টায় স্কুল ছাত্রী নাইমা’র লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়। কমিটির সদস্যরা হলেন, ডাঃ দেলোয়ার হোসেন, ডাঃ হালিমা নাসরিন, ডাঃ বজলুর রহমান, ডাঃ দেবাশীষ দাস ও ডাঃ মিঠুন রায়। গত বুধবার বিকাল ৩টার দিকে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে উপজেলার সোয়াইয়া গ্রামের ফরিদ মিয়ার মেয়ে নাইমা আক্তার। বাড়ি ফেরার পর থেকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি নাইমাকে। অনেক খুঁজাখুঁজির পর সন্ধ্যার দিকে বাড়ির পাশের পুকুরে মুর্তা গাছের নিচে পানির উপর তার লাশ ভেসে থাকতে দেখেন স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে বাহুবল থানার ওসি (তদন্ত) লাশ উদ্ধার করে হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করেন। তবে নাইমার পরিবারের লোকজন দাবি করছেন নাইমার বাবা’র সাথে তার চাচা শুকুর আলী ও পার্শ্ববর্তী কাজল মিয়া, সোহেল মিয়া ও স¤্রাটদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জায়গা নিয়ে বিরোধ রয়েছে। এরই জের ধরে এ হত্যাকান্ডটি সংঘটিত হয়েছে।

প্রথম পাতা