চুনারুঘাটে তথ্য গোপন করে সরকারী সুযোগ-সুবিধা গ্রহণের পায়তারা
তারিখ: ২৩-অগাস্ট-২০১৭
চুনারুঘাট প্রতিনিধি ॥

সরকারী চাকুরীজীবি স্বামী মারা যাবার পরও চুনারুঘাট উপজেলার পাইকপাড়া ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রায় ৪ বছর ধরে অবৈধভাবে বসবাস করছেন এক মহিলা। শুধু তাই নয়, ওই মহিলা তথ্য গোপন করে সরকারী সুযোগ- সুবিধা গ্রহণের পায়তারা করছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে জানা যায়, চুনারুঘাট উপজেলার পাইকপাড়া ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিরাপত্তা প্রহরীর চাকুরী করতেন আবুল কালাম ওরপে কালা মিয়া নামে এক ব্যক্তি। তিনি প্রায় ৪ বছর পূর্বে মারা যাবার সময় জরিনা খাতুন ও সালেমা খাতুন নামে দুই স্ত্রী এবং দু’পক্ষে ৩ পূত্র সন্তান রেখে যান। কিন্তু ২য় স্ত্রী সালেমা খাতুন তার ২ পূত্র সন্তান নিয়ে স্বামী মারা যাবার পরও অবৈধভাবে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কোয়ার্টারে বসবাস করতে থাকেন। শুধু তাই নয়, তিনি তার স্বামী মৃত কালা মিয়ার ১ম স্ত্রী জরিনা খাতুন ও তার সন্তানের কথা গোপন করে পেনশনের টাকাসহ সরকারী বিভিন্ন সুযোগ- সুবিধা গ্রহণের পায়তারা শুরু করেন। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে ১ম স্ত্রী জরিনা খাতুনের পূত্র ছাবেদুল ইসলাম হবিগঞ্জ পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের (ভারপ্রাপ্ত) উপ-পরিচালক বরাবরে অভিযোগ ও আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। এ ব্যাপারে ছাবেদুল ইসলাম জানান, সংশ্লিষ্ট সকল সকল দপ্তরে বারবার অভিযোগ দেবার পরও রহস্যজনক কারণে আমার সৎমা সালেমা খাতুন সরকারী কোয়াটারে অবৈধভাবে বসবাস এবং এককভাবে সরকারী সকল সুযোগ- সুবিধা গ্রহণের পায়তারা করছেন।  এ অবস্থায় আমরা মৃত বাবার পেনশনের টাকাসহ সকল সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবার শংকায় রয়েছি।

প্রথম পাতা