মিরপুরে ছাত্রদল ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে ছুরিকাঘাতে দুই ছাত্রলীগ নেতা রক্তাক্ত ॥ এলাকায় উত্তেজনা
তারিখ: ২৩-অগাস্ট-২০১৭
স্টাফ রিপোর্টার ॥

বাহুবল উপজেলার মিরপুরে দু’দল ছাত্রের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৫ জন। সংঘর্ষে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম হেলালকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ছুরিকাঘাতে অপর আহত ছাত্রলীগ নেতা আল আমিনকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি ও অন্যান্যদের স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসাদেয়া হয়েছে। স্থানীয় সূত্র জানায়, গতকাল মঙ্গলবার সকালে মিরপুর আলিফ সোবহান চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে ছাত্রদল নেতা সুজন ও কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক আলামিনের মধ্যে বাক-বিতন্ডার ঘটনা ঘটে। এরই জের ধরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মিরপুর বাজারে সঙ্গবদ্ধ হয় ছাত্রদল কর্মীরা। তারা তখন ছাত্রলীগ নেতা আল আমিনকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে ছাত্রদল কর্মীরা আবারও গণি জাহান কমপ্লেক্সের সামনে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম হেলালের উপর হামলা চালায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ সময় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জুনায়েদের স্থানীয় সমর্থকরাও সংঘর্ষে যোগ দেয়। হামলাকারীরা তখন হেলালকে উপর্যুপরী ছুরিকাঘাত করে। স্থানীয় লোকজন আহত ছাত্রলীগ নেতা হেলাল ও আল আমিনকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পরে গুরুতর আহত ছাত্রলীগ নেতা হেলালকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এ ঘটনায় আহত অন্যান্যদের স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসাদেয়া হয়েছে। 

এদিকে, সংঘর্ষের খবর ছড়িয়ে যাওয়ার পর আহত ছাত্রলীগ নেতা আলামিনের নিজগ্রাম ‘চারগাও’গ্রামের লোকজন ও ছাত্রদল নেতা সুজনের নিজগ্রাম ‘বানিয়াগাও’গ্রামের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে মিরপুর ব্যক্সের নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। খবর পেয়ে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল নবীগঞ্জ-বাহুবল) রাসেলুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

এ ব্যাপারে গুরুতর আহত ছাত্রলীগ নেতা নজরুল ইসলাম হেলালের ঘনিষ্টজনরা জানান, স্থানীয় ছাত্রদল ও জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা পরিকল্পিতভাবে হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম জানান, হামলাকারীরা তার দোকানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত করেছে। 

এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ডাঃ ইশতিয়াক রাজ চৌধুরী জানান, ছাত্রদল কর্মীরা পরিকল্পিতভাবে ছাত্রলীগ নেতাদের উপর হামলা করেছে। কেউ কেউ হীন উদ্দেশ্যে ঘটনাটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে। এখানে ছাত্রলীগের কোন গ্র“পিং নেই। ছাত্রলীগ নেতার উপর হামলাকারীরা ছাত্রলীগের কেউ নয়।

প্রথম পাতা