সুলতানশী এলাকায় হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি
তারিখ: ২৬-সেপ্টেম্বর-২০১৭
স্টাফ রিপোর্টার ॥

হবিগঞ্জ সদর উপজেলার সুলতানশী সরকারী পাকা রাস্তাসহ জনসাধারণের চলাচলে রাস্তায় সাইনবোর্ড দিয়ে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করছে সুলতানশী মহরম উদযাপন কমিটি। গত ২২ সেপ্টম্বর থেকে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার সুলতানশী আবাসিক এলাকায় প্রতিবছর মতো এবারও মহররমের ১০দিন এলাকার পীর দাবিদার ও মহরম উদযাপন কমিটি লোকজন সরকারী রাস্তাসহ জনসাধারণের চালাচলের রাস্তায় (জুতা, ছাতা ব্যবহারে প্রতিবন্ধকতা এমন কি মুসলমানরা টুপি ব্যবহার করলেও খুলে নিয়ে ধর্মীয় অনুভুতি আঘাত এনেছে। ওই পীর দাবিদাররা মানছে না হাইকোর্টের নির্দেশও। জানা যায়, ২০১২ সালে এলাকাবাসীর পক্ষে মহরম শাহ আব্দুল হাই (প্রধান শিক্ষক) এর ছেলে এলাকার কৃতি সন্তান সাংবাদিক ও মানবধিকার কর্মী শাহ তাজুল ইসলাম রুমেল বাদী হয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। সুলতানশী এলাকায় এলজিইডির পাকারাস্তাসহ জনসাধারণের চলাচলের বাস্তা দিয়ে পবিত্র মহরমের ১০ দিন সুলতানশী এলাকায় সরকারী নির্দেশ একাধিক সাইনবোর্ড টানিয়ে পীরসহ তাদের অনুসারীরা টুপি, জুতা ও ছাতা ব্যবহারে প্রতিবন্ধকতাসহ ধমীয় অনুভুতিতে আঘাত ও ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপসহ জনসাধারণের হয়রানি, নির্যাতন ও বিভিন্ন প্রতারণা করে আসছিল। এ প্রেক্ষিতে এলাকাবাসীর পক্ষে হাইকোর্টে রীট করেন শাহ তাজুল ইসলাম রুমেল। শুনানি শেষে হাইকোর্ট ২০১৫ সালে ৩০ এপ্রিল নির্দেশনাসহ রায় প্রধান করেন। রায়ে বলা হয় সুলতানশী আবাসিক এলাকার সরকারি পাকা রাস্তাসহ জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা দিয়ে সাইনবোর্ডসহ কোন প্রকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না বা করার সুযোগ নেই। উক্ত রাস্তাটি এলজিইডির অর্থায়নে ২০০৩-০৪ অর্থবছরে পাকাকরণ করা হয়। রায়ের পর জেলা প্রশাসনের বরাবর অবশিষ্ট দাগ দুটিও সরকারে নামে নামজারী আবেদন জানালে সহকারী কমিশনার ভূমি বাদী হয়ে সরকারের ডিপি ১নং খাস খতিয়ানে অন্তর্ভূক্ত করেন। এদিকে মামলার বাদি সাক্ষীসহ প্রতিবাদকারীদের বিভিন্ন সময় মামলা হামলাসহ মানহানীকর মিথ্যা বক্তব অপপ্রচার চালিয়ে হয়রানি করার চেষ্টা করছে বলে জানান প্রতিবাদকারীরা।

শেষ পাতা