বের হয়ে আসছে বানিয়াচঙ্গের ইউপি সদস্য মুজাহিদ এর অজানা কাহিনী
তারিখ: ১২-অক্টোবর-২০১৭
স্টাফ রিপোর্টার ॥

স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর বের হয়ে আসছে বানিয়াচঙ্গের ৩নং ইউনিয়নের সদস্য মহিবুর রহমান মুজাহিদ-এর নানা অজানা কাহিনী। স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, মোজাহিদ চতুর চালাক ও বহু অপকর্মের হোতা। সে নিজেকে রক্ষার জন্য তার নামের আগে মহিবুর রহমান যোগ করে মহিবুর রহমান মোজাহিদ নামে পার্সপোট করে বিদেশে মাটি ফাড়ি জমায়। স্থানীয় এলাকাবাসী আরো জানান, বিদেশে কয়েক বছর অবস্থান করে মোজাহিদ। পরবর্তীতে দেশে ফিরে এলাকায় আবারও বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে। বহু অপকর্ম করলেও বিগত ইউপি নির্বাচনে ৩নং ইউনিয়নের ৫নং ওয়াডের্র মেম্বার নির্বাচিত হয় মোজাহিদ। এরপূর্বে বিভিন্ন মামলায় সে কারাভোগও করে। মামলা মোকাদ্দমাসহ অপকর্ম থেকে বাঁচার জন্য নিজ দল বিএনপি ছেড়ে বছর খানেক আগে আওয়ামীলীগে যোগদান করে মোজাহিদ। এরপর বানিয়াচং উপজেলা যুবলীগের সদস্য হিসেবে মনোনীত হয়। তার বিরুদ্ধে ডাকাতি মামলা ও পুলিশের উপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। ২০১১ সালের ১৩ ডিসেম্বর বানিয়াচঙ্গ উপজেলার তারাসই গ্রাম সংলগ্ন মাউতপুর বন্দের বাড়ির মজ্জত আলীর উড়ার ঘরে একদল ডাকাত গোপন বৈঠক করার সময় বানিয়াচঙ্গ থানার তৎকালীন এসআই মানিক বড়–য়া, এসআই হরিদাস, এএসআই আব্দুস সালামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ডাকাত রাহাত আলী, মাইদুর ও রাজন মিয়াকে গ্রেফতার করলেও অন্য ডাকাতরা পালিয়ে যায়। এসময় তাদের কাছ থেকে ৩টি মোবাইল ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানায় ইউপি সদস্য মুজাহিদ মিয়াসহ বেশ কয়েকজন ডাকাত তাদের বৈঠকে ছিল। পরবর্তীতে ২০১৪ সালের ৭ জুলাই স্থানীয় একটি দৈনিক পত্রিকায় মোজাহিদের নানা অপকর্ম সম্পর্কে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তবে ইউপি সদস্য মোজাহিদ জানান, তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ ও দায়েরকৃত মামলাটি ভিত্তিহীন। উল্লেখ্য, সম্প্রতি তার অপকর্ম নিয়ে স্থানীয় দৈনিক কয়েকটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর থেকে তার অপকর্ম সম্পর্কে নানা তথ্য দেন এলাকাবাসী।

প্রথম পাতা
শেষ পাতা