পাইপগান গুলি রামদা ও চাকু উদ্ধার ॥ বাহুবলে বন্ধুক যুদ্ধে কুখ্যাত ডাকাত মদন নিহত ॥ দুই পুলিশ আহত
তারিখ: ১৩-অক্টোবর-২০১৭
দিদার এলাহী সাজু ॥

বাহুবলে পুলিশের সাথে ডাকাত দলের বন্ধুকযুদ্ধে মদন মিয়া ওরফে সুজন মিয়া (৩৫) নামে কুখ্যাত এক ডাকাত নিহত এবং দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে গুলিসহ একটি দেশীয় পাইপগান উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত বুধবার দিবাগত রাতের শেষদিকে উপজেলার দারাগাঁও চা বাগান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ডাকাত মদন উপজেলার ভাদেশ্বর ইউনিয়নের শাহপুর গ্রামের রহমান মিয়ার পুত্র। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, বাহুবল মডেল থানার এ.এস.আই সোহেল শাহ ও কনস্টেবল ইমরান মোল্লা। পুলিশ সূত্র জানায়, হত্যা-ডাকাতিসহ ৭টি মামলার আসামী কুখ্যাত ডাকাত মদন মিয়াকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার বিকেলে অভিযান চালিয়ে উপজেলার মিরপুর বাজার থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অস্ত্র উদ্ধার ও সহযোগীদের গ্রেফতার করতে মদন মিয়াকে সাথে নিয়ে রাতের শেষ দিকে দারাগাঁও চা বাগান এলাকায় যায় পুলিশ।

এসময় ‘চা-বাগান এলাকার ২নং সেকশনের কাছে মাটির রাস্তায় পৌঁছলে চা গাছের নিচে ওৎপেতেথাকা ডাকাতদল পুলিশে উপর পাইপগানের গুলি ছুড়লে কোন কিছু বুঝে উঠতে না পেরে পুলিশও ফাঁকা গুলি ছুড়ে। এ সময় পুলিশের হাত থেকে ডাকাত মদন পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে সহযোগীদের ছুড়া পাইপগানের গুলির আঘাতে গুরুতর আহত হয়’। পরে গুলিবৃদ্ধ অবস্থায় ডাকাত মদনকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসকমৃত ঘোষণা করেন।

পুলিশ জানায়, এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ১টি দেশীয় পাইপগান, ৩ রাউন্ড গুলি, ২ টি গুলির খোসা, ৩ টি রামদা, ১টি চাকু ও ১ টি গামছা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এ.এস.আই সোহেল শাহ ও কনষ্টেবল ইমরান মোল্লা আহত হন। তাদেরকে বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাদেয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রাসেলুর রহমান জানান, আত্মরক্ষার্থে পুলিশ ১৭ রাউন্ড সর্টগানের গুলি ছুড়ে। নিহত মদন মিয়ার বিরুদ্ধ বিভিন্ন থানায় হত্যা, ডাকাতি ও ডাকাতি প্রস্তুতির অভিযোগে ৭টি মামলা রয়েছে। তিনি বলেন, ‘ধৃত ডাকাত মদন মিয়া তার সহযোগীদের এলোপাতাড়ি গুলিতে বুকে আঘাত প্রাপ্ত হয়ে মারা গেছে’।

প্রথম পাতা