বাহুবলের ফয়জাবাদ হাই স্কুলে সহকারী গ্রন্থাগারিক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ
তারিখ: ২০-অক্টোবর-২০১৭
বাহুবল প্রতিনিধি ॥

বাহুবলের ফয়জাবাদ হাই স্কুলে সহকারী গ্রন্থাগারিক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক এক প্রার্থীকে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ ব্যাপারে রিমানা নামের এক পরীক্ষার্থীর পক্ষে এমএনএ শাহজাহান উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার ভাদেশ্বর ইউনিয়নের ফয়জাবাদ হাই স্কুলে সহকারী গ্রন্থাগারিক পদে লোক নিয়োগের জন্য গত ৪ঠা জুলাই একটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞাপন প্রচার করা হয়। এ আলোকে আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করেন। গত ৫ অক্টোবর এ পদে নিয়োগের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা হবিগঞ্জ সরকারী হাই স্কুলে অনুষ্ঠিত হয়। এ পরীক্ষায় ৭ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করেন। পরীক্ষা শেষে ফলাফল প্রকাশ না করে প্রার্থীদের বিদায় দেয়া হয়। অভিযোগে বলা হয়, পরবর্তীতে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হারুনুর রশীদ-এর মারফতে জানতে পারি, ১৮ অক্টোর কমিটির সভায় এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়ে জানানো হবে। কিন্তু এরই মধ্যে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ হারুনুর রশীদ, প্রধান শিক্ষক প্রসিদ চন্দ্র দেব ও সিনিয়র শিক্ষক হুমায়ূন কবির এর যোগসাজসে পরীক্ষার্থী অনামিকা’র নিকট থেকে দেড় লাখ টাকা উৎকোচগ্রহণ করেন। অভিযোগে দাবি করা হয় এ উৎকোচগ্রহণের অডিও সিডি অভিযোগকারী পক্ষের কাছে সংরক্ষিত আছে। অভিযোগে আরো বলা হয়, অপর একটি সূত্র জানায়, পরীক্ষার্থী নাজমা বেগমের নিকট থেকে ৩ লাখ টাকা উৎকোচগ্রহণ করে তাকে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের চেয়েও অধিক নম্বর দেখিয়ে চাকরি প্রদানের পায়তারা চলছে। নাজমা বেগমের স্বামী নূরুল আমীন গোপলার বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে কর্মরত আছেন। তিনি তার স্ত্রীর চাকরির জন্য উৎকোচদেবার লক্ষ্যে জনতা ব্যাংক-এর নবীগঞ্জ শাখা থেকে ঋণ উত্তোলন করেছেন। সভাপতি হারুনুর রশীদের মোবাইল নম্বর ও নাজমা বেগমের স্বামী নূরুল আমীনের মোবাইল নম্বর-এর কথোপকতনে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যাবে বলে অভিযোগে দাবি করা হয়।

প্রথম পাতা