আমার আশংকা যেন বাস্তবে রূপ না নেয় এই আমার প্রার্থনা
তারিখ: ২০-অক্টোবর-২০১৭

-দেওয়ান আব্দুল কাইউম

 লেখক ও গবেষক, যুক্তরাজ্য।

সুপ্রিয় পাঠক, এই অধমের অনেকগুলি আশংকাই বাস্তবে পরিনত হয় বিধায় খুবই ভীত থাকি। বাংলাদেশের ভাগ্যাকাশে যেভাবে একটার পর একটা বিপদের আভাষ দেখা দিয়েছে এর জন্য খুবই ভয়ে আছি। লন্ডনে অবস্থান করছিলেন বেগম খালেদা জিয়া ও আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা লন্ডনে তিনদিন থাকাবস্থায় লন্ডনের আকাশে বাতাসে গুজব ছড়িয়েছিল যে বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশে ফিরে যাবেন কি না বা গেলে গ্রেফতার হবেন কি না এজন্য নানা জনে নানা মত ছিল। গত ১৬ অক্টবর যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত একজন নামকরা অধ্যাপক যিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সাতটি বিশ্ববিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যাপক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি নাম উল্লেখ করে একটি খবরে জানা যায়, তারেক জিয়া সরকারের সাথে বিএনপির নেগেটিভ সম্পর্ক পজিটিভ করার জন্য একজন মহিলা নেত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। আসন্ন নির্বাচন সম্পর্কে একটি সমঝোতায় পৌছানের জন্য অনুরোধ করেন। আর সেই সমঝোতার মধ্যস্থা করেন একজন অজানা লোক। কি সমঝোতা হয়েছে তা জানা না গেলেও কয়েক দিনের মধ্যে খবরে প্রকাশিত হবে বলে ধারনা করছি সমঝোতা হলেও হতে পারে। বর্তমান নির্বাচন কমিশনারের পাগলের মতো প্রলাপ, বক্তব্য ও আচরণাদি ব্যাখ্যা করলে কিছু একটা হচ্ছে বলে মনে হয়। আমি একজন নিবেদিত প্রাণ হিসেবে বড় ধরনের দাঙ্গা হাঙ্গামা ছাড়াই যদি নির্বাচন করা যায় তাহলে জাতির জন্য কল্যানকর হবে কিন্তু বড় ধরনের লাভের ছেয়ে ক্ষতি হয় বলে আমার বিশ্বাস তাই পর্দার অন্তরালের বিষয় গুলি যদি পজিটিভ হয় তবেই শান্তি হবে বলে বিশ্বাস করি। নতুবা দেশের মধ্যে বিপদ আসলে এ থেকে আমরা কেহই রেহাই পাবনা এ আশংকাই বেশী। উদাহরণ সরূপ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসার পূর্বে তৎকালীনক্ষমতাশীন বিএনপি সরকারের সাথে যখন বিরোধীদলের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছিল তখন কি জাতি এর পরিনাম কি হবে ভেবেছিল? জনপ্রিয় দুই নেত্রীকে জেলে নেওয়া হবে, তারেক জিয়া, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আব্দুল জলিল ও ওবায়দুল কাদেরের মতো নেতাদের নির্যাতন করা হবে তা কি জাতি ভেবেছিল? দুর্নীতির দমনের ভয় দেখিয়ে একটি তৃতীয় শক্তি ক্ষমতা দখল করে জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে বিদেশে পালিয়ে যাবে, বিডিআর বিদ্রোহের মাধ্যমে দেশের সেনাবাহিনীর সোনার ছেলেদের আমরা হারিয়ে ফেলবো, জাতির এত বড় ক্ষতি হবে আমি তা স্বপ্নেও ভাবিনি। সেজন্য আমাদের মতো সাধারণ জনগণের যত ভয়। আল্লাহ আমাদের বিপদমুক্ত রেখে দেশ উন্নতির দিকে পরিচালিত হউক এই প্রার্থনা করি। ছোট মুখে বড় কথা বলতে চাই, সবাই সম্মত হলে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী রেখেই বড় দুটি দলের তিনজন করে ছয়জন সদস্য নিয়ে (যারা নির্বাচনে প্রার্থী হবেন না) একটি নির্বাচনী সরকার একমাসের জন্য গঠন করা যেতে পারে। এই ছয় সদস্য ব্যক্তির নির্বাহী ক্ষমতা থাকবেনা। ক্ষমতা থাকবে শুধু নির্বাচন কমিশনার ও রাষ্ট্রপতির নিকট। নতুন সরকার না আসার পূর্বে প্রধানমন্ত্রীকে সরানো যাবে না কিংবা পরিবর্তন করা যাবেনা। সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রপতির অধীনে রাখতে হবে। সচিব থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পর্যন্ত কাউকে ট্রান্সপার করা যাবেনা।

লেখক, গবেষক এবং চেয়ারম্যান

স্বাধীনতা ফাউন্ডেশন এবং প্রবাস ফাউন্ডেশন, যুক্তরাজ্য।

প্রথম পাতা