নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ অর্ধকোটি টাকার মালামাল লুট ॥ শিবপাশায় সংঘর্ষে হত্যাকান্ডের ঘটনায় প্রতিপক্ষের বাড়ি ঘর-দোকান ভাংচুর ও লুটপাটের তান্ডব
তারিখ: ৭-ডিসেম্বর-২০১৭
স্টাফ রিপোর্টার ॥

আজমিরীগঞ্জ উপজেলার শিবপাশা বাজারে খান বাহাদুর ওয়াকফ এস্টেটের জায়গা নিয়ে বিরোধের জেরধরে সংঘর্ষে হত্যাকান্ডের ঘটনায় দফায় দফায় প্রতিপক্ষের বাড়ি ঘর ও দোকান পাঠে হামলা ও ভাংচুরের তান্ডব চালানো হয়েছে। এসময় প্রতিপক্ষের বাড়ি ঘর দোকান পাঠে থাকা নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, গরু বাছুর, ধান চাউলসহ প্রায় অর্ধকোটি টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে তারা। এসময় ভাংচুর করা হয় ২৫ থেকে ৩০টি বাড়ি ঘর ও দোকান পাঠ। সংঘর্ষের পর হত্যাকান্ডের ঘটনায় পুরুষশূণ্য বাড়িতে লুটপাটের তান্ডব চালায় আব্দুল আহাদের পক্ষের লোকজন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শিবপাশা বাজারে খান বাহাদুর ওয়াকফ এস্টেটের জায়গা নিয়ে বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষে এক ব্যক্তি নিহত হয়। পরে নিহতের ঘটনার জের ধরে আব্দুল আহাদের পক্ষের লোকজন মাসুক মিয়া চৌধুরী’র পক্ষের লোকজনের পুরুষশূণ্য বাড়ি ঘর ও দোকান পাঠে ব্যাপক হামলা ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। এসময় শিবপাশা বাজারে আলমগীর ও জুবায়েরের দোকানে নগদ ২ লক্ষাধিক টাকাসহ প্রায় ৬ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এছাড়াও সাইফুল ইসলাম নামে অপর আরেক ব্যবসায়ীর দোকানে হামলা চালিয়ে প্রায় ১ লাখ টাকার মালামাল লুট করা হয়। অপরদিকে, মাসুক মিয়ার বাড়ি ঘরে ভাংচুর চালিয়ে, ৫ ভরি স্বর্ণালংকার, ২টি গরু, নগদ ৯২ হাজার টাকা, ধান, চাউল ও ফার্নিচেয়ারসহ প্রায় ৬ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করা হয়। চনু মিয়ার বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়ে লিস্টার মেশিন যার মূল্য ১ লাখ ২০ হাজার টাকাসহ প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা মালামাল লুট ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়, ছাবু মিয়ার বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়ে ১টি ফ্রীজ, নগদ ২ লাখ টাকা, সাড়ে ৪ ভরি স্বর্ণ ও আসবাবপত্র লুটপাটসহ প্রায় সাড়ে ৫ লাখ টাকার মালামাল লুটপাট করা হয়। এছাড়াও, আব্দুর রউফ ১ লাখ ৫০ হাজার, নুর উদ্দিন ১ লাখ ৫০ হাজার, মতিউর রহমান ১ লাখ ১০ হাজার, আব্দুর রশিদ ১ লাখ ৫০ হাজার, জাহির মিয়া ৯০ হাজার, হারুনুর রশিদ নগদ সহ ৩ লাখ, তাজুল ইসলাম ১ লাখ, আলিম উদ্দিন ১ লাখ ৭৫ হাজার, নাজিম উদ্দিন ১ লাখ ৪০ হাজার, আলমগীর ১ লাখ ৬০ হাজার, ছবুর মিয়া ১ লাখ ২০ হাজার, হাকিম মিয়া ১ লাখ ২০ হাজার, মেশকাল ১ লাখ টাকা, মফিজ ২ লাখ ৫০ হাজার, লায়েক ২ লাখ ২০ হাজার, আসাদুর রহমান ১ লাখ, আব্দুর রহমান ৫০ হাজার, আজিজুল ৫০ হাজার, হুসাইন মিয়া ২ লাখ, সামাউন মিয়া ১ লাখ ৯০ হাজার ও খলিম মিয়ার ১ লাখ ১০ হাজার টাকাসহ বাড়ি ঘরে থাকা নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে প্রায় অর্ধকোটি টাকার মালামাল লুটপাট করে আব্দুল আহাদের লোকজন। সংঘর্ষে হত্যকান্ডের পর বাড়ি ঘর পুরুষশূণ্য থাকায় এ লুপাটের ঘটনা ঘটেছে বলে জানায় স্থানীয়রা। অপরদিকে, খবর পেয়ে বানিয়াচং আজমিরীগঞ্জ আসনের এমপি এডভোকেট আব্দুল মজিদ খান, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যাসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে বলেও জানান স্থানীয় লোকজন।

প্রথম পাতা