গুরুতর অসুস্থ ডাঃ যামিনী কুমার দাসের শয্যা পাশে হবিগঞ্জ-২ আসনের আ’লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী এডভোকেট আজাদ
তারিখ: ১৪-জানুয়ারী-২০১৮
প্রেস বিজ্ঞপ্তি ॥

আজমিরীগঞ্জ উপজেলার সমাজসেবক ও উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রবীন নেতা ডাঃ যামিনী কুমার দাসের গুরুতর অসুস্থতার কথা শুনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ (হবিগঞ্জ-২) আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী এডভোকেট মোঃ আবুল আজাদ তাকে দেখার জন্য তার বাসায় যান এবং তার শয্যার পাশে বসে তার সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ আলাপ-আলোচনা করেন। ভীষণ অসুস্থ ডাঃ যামিনী বাবু আলোচনার মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের ভয়াবহ স্বরণকালের অনেক স্মৃতি তুলে ধরেন এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশের উপ-সর্বাধিনায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল এম.এ রব (এম.এন.এ) ও গোপাল কৃষ্ণ মহারতœ (এম.পি.এ) এর নাম উচ্চারণ করে কেঁধে ফেলেন। ডাঃ যামিনী কুমার দাস ভীষণ অসুস্থ অবস্থায় শয্যাশায়ী। টাকার অভাবে তার সুচিকিৎসা হচ্ছে না। এডভোকেট আজাদ সমাজসেবক ও বর্তমানে গুরুতর অসুস্থ প্রবীন আওয়ামীলীগ নেতা ডাঃ যামিনী কুমার দাস এর সুচিকিৎসার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট আর্থিক অনুদান প্রদানের জোর দাবী জানান। জানা যায়, ডাঃ যামিনী কুমার দাস ১৯৭১ সনে আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাধীনতা সংগ্রাম কমিটির সদস্য ছিলেন। যার আহ্বায়ক ছিলেন আজমিরীগঞ্জ উপজেলা কমিউনিষ্ট পার্টির প্রবীন নেতা বাবু কৃপেন্দ্র কিশোর বর্মন। ডাঃ যামিনী কুমার দাস মুক্তিযুদ্ধচলাকালীন সময়ে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসাসহ এলাকার হাজার হাজার জনগণের চিকিৎসা করেন। যার কোন তুলনা নেই। আরও জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে দেশে ভয়াবহ রূপ ধারণ করলে পাক বাহিনীর আক্রমণের ভয়ে তিনি তার ছেলে, মেয়ে ও পরিবারের অন্যান্য লোকদেরকে আজমিরীগঞ্জ বাজারস্থ বাসা থেকে শিবপাশা গ্রামে পাঠিয়ে দেন এবং তারা তথায় ৪ মাস নিরাপদে থাকেন। ডাঃ যামিনী বাবু আজমিরীগঞ্জ বাজারস্থ বাসায় একা থেকে জীবন মরণের ভয় না করে অতি সাহসের সহিত আহত মুক্তিযোদ্ধাসহ সর্বস্তরের জনগণের সেবা করে থাকেন। যার দরুন এলাকার সর্বস্তরের জনগণের নিকট তিনি অতি প্রিয় ও প্রশংসিত ব্যক্তি। এও জানা যায়, ডাঃ যামিনী বাবু ১৯৭২ইং হইতে ১৯৯০ইং সন পর্যন্ত অর্থাৎ দীর্ঘ ১৯ বছর যাবত বাৎলাদেশ আওয়ামীলীগ আজমিরীগঞ্জ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ইং সনের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্ব-পরিবারে হত্যার পর ১৯৭৬ইং সনের ১০ ডিসেম্বর মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানের বিশেষ নির্দেশে তাকে রাজবন্দি হিসেবে আটক করা হয়। তিনি সিলেট ও কুমিল¬া জেলার কেন্দ্রীয় কারাগারে দীর্ঘ এক বছর কারামুক্তির পর ১৯৭৭ইং সনে আজমিরীগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা বাছাই কমিটির সভাপতি মনোনীত হন। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ৫০ বৎসর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে সিলেট বিভাগের অনুষ্ঠানে তাকে সক্রিয় রাজনীতিবিদ হিসেবে মনোনীত করে বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে সম্মানসূচক পদক নিজ হস্তে অর্পণ করেন।