আগ্রাসী মাইকের লাগাম টেনে ধরা সময়ের দাবী ॥ যত্রতত্র শব্দদানব-এর মহামারি তান্ডবে অতিষ্ঠ শহরবাসী
তারিখ: ১৪-মার্চ-২০১৮
দিদার এলাহী সাজু ॥

নতুন যন্ত্রণার নাম ‘শব্দদানব’ মাইক। যত্রতত্র মাইকের ব্যবহারে অতিষ্ট শহরবাসী। দেশে মাইক ব্যবহারের সুর্নিদিষ্ট কোন কার্যকর নীতিমালা না থাকায় শব্দ দূষণের বিষয়টি এখন মহামারি আকার ধারণ করেছে। এ অবস্থায় সমাজ সচেতন মহল মনে করছেন আগ্রাসী মাইকের লাগাম টেনে ধরা এখন সময়ের দাবী। লক্ষ্য করা গেছে, হবিগঞ্জ শহরে প্রায় প্রতিদিনই কোন না কোন স্থানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক কিংবা রাজনৈতিক অনুষ্ঠান। এসব অনুষ্ঠানে অবিবেচকের মত যত্রতত্র ব্যবহার করা হচ্ছে ‘শব্দদানব’ মাইক (হরণ)। ফলে শব্দ তান্ডবে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, পথচারী, বাসা-বাড়ির লোকজনসহ অফিস-আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। শুধু তাই নয়, জরুরী জনগুরুত্বপূর্ণ কাজ-কর্মে ঘটছে বিপত্তি। সম্প্রতিক সময়ে বিষয়টি চরম আকার ধারণ করেছে। সমাজ সচেতন মহল মনে করেন, ‘বর্তমান আধুনিক ডিজিটাল যুগে অবাধে মাইক (হরণ) ব্যবহারের তেমন কোন প্রয়োজনীয়তাই নেই। বিশেষ করে শহরাঞ্চলের জনবহুল এলাকায় সভাস্থলের বাইরে মাইক (হরণ)-এর ব্যবহার একেবারেই অমানবিক। আধুনিক সভ্য সমাজে এটি একটি প্রাচীন অসভ্যতা’। অনেকে মনে করেন, ‘সভাস্থলের অভ্যন্তরে লাউড স্পীকার ব্যবহার করেই সব ধরণের অনুষ্ঠান সফল ভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব। দেশে মাইক ব্যবহারের সুনির্দিষ্ট কোন কার্যকর নীতিমালা না থাকায় শব্দ দূষণের বিষয়টি এখন মহামারি আকার ধারণ করেছে। এর লাগাম টেনে ধরতে প্রয়োজন সুনির্দিষ্ট নীতিমালা। এটি এখন সময়ের দাবীতে পরিণত হয়েছে’।

প্রথম পাতা