চুনারুঘাটে কিশোরীকে গণধর্ষণের পর ভিডিওচিত্র ধারণ ॥ আটক দুই যুবক কারাগারে
তারিখ: ২৩-মার্চ-২০১৮
জাকারিয়া চৌধুরী ॥

চুনারুঘাটে কিশোরীকে গণধর্ষনের পর ভিডিওচিত্র ধারনের অভিযোগে মামলায় আটককৃত দুই যুবককে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই দুই যুবককে আদালতে প্রেরণ করা হলে আদালত তাদেরকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজমিরুজ্জামান। এর পুর্বে বুধবার বিকেলে অভিযুক্ত ওই ২ যুবককে উপজেলার আমুরোড বাজার থেকে আটক করে চুনারুঘাট থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে জনতা। ওসি আরও জানান, ধর্ষণের বিষয়ে গত ২০মার্চ চুনারুঘাট থানায় ধর্ষিতা কিশোরী ৪ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করে। কিশোরীর বাড়ি উপজেলার আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের কালিশিরি গ্রামে। সে মোঃ ফরিদ মিয়ার কিশোরী কন্যা। জানা যায়, গত ১৮’ই মার্চ নিজ বাড়ি কালিশিরি থেকে আমুরোড বাজার আসার পথে সুন্দরপুর গ্রামে পৌঁছলে মামলার আসামী এই গ্রামের আব্দুল গোফারের পুত্র শফিকুল ইসলামসহ অপরাপর আসামীরা তাকে জোর পূর্বক সাতছড়ি জঙ্গলে নিয়ে যায়। পরে তারা সবাই মিলে কিশোরীকে ধর্ষণ করে এবং ওই ধর্ষণের ভিডিওচিত্র ধারণ করে। সেই ভিডিও চিত্রটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ করে এবং বিভিন্ন মোবাইলে ছড়িয়ে দেয়। পরে বিষয়টি ওই কিশোরী তার পরিবারকে জানায়। ওই দিন বিকেলেই স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছে গেলে তিনি তাদেরকে দ্রুত চুনারুঘাট থানায় যাওয়ার পরামর্শ দেন। পরবর্তীতে চুনারুঘাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে এসআই কাসী অভিযোগ আমলে নিয়ে সুন্দরপুর গ্রামের আব্দুল গোফারের পুত্র সফিকুল ইসলাম (১৮), গোছাপাড়া গ্রামের মৃত কিম্মত আলীর পুত্র নাইম মিয়া (১৭), কালামন্ডল গ্রামের আরজু মিয়ার পুত্র সাইফুল ইসলাম (১৮) ও হাড়াজোড়া গ্রামের তাহির মিয়ার পুত্র সুজন (১৬) কে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। এদিকে ধর্ষকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও মোবাইলে ধর্ষণের ভিডিওটি প্রচার করেও প্রকাশ্যে হাট-বাজারে ঘুরাফেরা করতে থাকে। ভিডিওটি স্থানীয় চেয়ারম্যানের নজরে আসলে ইউপি সদস্য দুলাল ভূইঁয়া ও গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে তাদের আটক করেন পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।

প্রথম পাতা
শেষ পাতা