বিদ্যুৎহীন পুরো শহর ॥ ভূতুরে পরিবেশ ॥ হবিগঞ্জে কালবৈশাখী ঝড়ে ফসলী জমি ও বাড়ি ঘরের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি
তারিখ: ২৬-এপ্রিল-২০১৮
জাকারিয়া চৌধুরী ॥

হবিগঞ্জ কালবৈশাখী ঝড়ে ফসলী জমির ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন স্থানে বাড়ির ঘর ও গাছপালার ঝড়ের কবলে পড়ে উড়ে গেছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত হবিগঞ্জের উপর দিয়ে কাল বৈশাখী ঝড় বয়ে যায়। এসময় ঝড়ো হাওয়ার সাথে বৃষ্টি ও বজ্রপাত হয়। জানা যায়, জেলার শায়েস্তাগঞ্জ, চুনারুঘাট, বানিয়াচং ও আজমিরীগঞ্জ এলাকায় ঝড়ের ফলে অধিকাংশ ফসলী জমির পাকা ও আধা পাকা ধান মাটিতে পড়ে গেছে। আর এতে করে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সাধারণ কৃষকদের। এছাড়াও ওই সব এলাকার রাস্তাঘাটে গাছ উপড়েছে। এদিকে, বাড়ির-ঘরে বড় ধরণের কোন ক্ষয়ক্ষতি না হলেও হাওরের ফসলী জমি নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন কৃষকরা। বৈশাখের শুরুতে কোন কোন কৃষক কিছু কিছু জমি কাটলেও এখনও অধিকাংশ জমিতে রয়েছে আধা পাকা ধান। অনেক এলাকায় আবার শ্রমিক সংকটের কারণে ধান কাটা ব্যহৃত হচ্ছে। অপরদিকে, হবিগঞ্জ শহরের বিদ্যুৎ আর বৃষ্টি যেন এক অপুর্ব বন্ধনে মিলিত হয়েছে। বৃষ্টির দেখা পেলেই চলে যায় বিদ্যুৎ। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় ঝড়ের সময় বিদ্যুৎ চলে গেলে আর বিদ্যুতের দেখা পায়নি শহরবাসি। ফলে ভোগান্তি পড়তে হয়। বিশেষ করে চলমান এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা পড়েন বেশি ভোগান্তিতে। শহরের অধিকাংশ বাসায়ই দেখা গেছে মোমবাতি, চার্জ লাইট অথবা বিকল্প পদ্ধতিতে লেখা পড়া করছেন তারা। আর এতে করেই পুরো শহরে যেন এক ভূতুরে পরিবেশের সৃষ্টি হয়। রাত ১টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। অপরদিকে, কবে নাগাদ বিদ্যুতের এ সমস্যা শেষ হবে তা কারো জানা নেই। এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ পিডিবি’র নির্বাহী প্রকৌশলী সামছ ই আরেফীন জানান, ঝড়ের কারণে গাছ পড়ে বিদ্যুতের লাইন ছিড়ে গেছে। তাই বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে।