শহরের বিভিন্ন বিউটি পার্লারে পরিচালিত যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ মেয়াদউত্তীর্ণ কসমেটিকস জব্দের পাশাপাশি ৩২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের এক যৌথ অভিযানে এ জরিমানা আদায় কারা হয়। অভিযানে মেয়াদউত্তীর্ণ কসমেটিকস ব্যবহারের অপরাধে শহরের অনামিকা বিউটি পার্লারকে ১০ হাজার টাকা, গ্লামার বিউটি পার্লারকে ৮ হাজার টাকা, মর্ডান বিউটি পার্লার ৩ হাজার টাকা এবং সুমাইয়া বিউটি পার্লারকে ৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া রমজান মাসকে সামনে রেখে শায়েস্তানগর এলাকায় ওজনে কারচুপির দায়ে নিউ খাজা রেস্টুরেন্টকে ২হাজার, মূল্য তালিকা না থাকায় জাহিদ মিয়া স্টোরকে ৩ হাজার এবং মেয়াদউত্তীর্ণ পণ্য বিক্রির দায়ে মধুকানন রেস্টুরেন্টকে ২হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আমিরুল ইসলাম মাসুদ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জান্নাত আরা লিসার যৌথ নেতৃত্বে পরিচালিত এই অভিযানে প্রায় ৩০টিরও বেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তদারকি কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এসময় মাংসের দোকানগুলোকে রমজান মাসে আইন মেনে মাংস বিক্রির জন্য সতর্ক করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি কাচামাল ও মাছ ব্যবসায়ীদের ওজনে কম না দিতে ও অবৈধভাবে মূল্য বৃদ্ধি না করতে সতর্ক করে দেন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক। অভিযানে সার্বিক সহয়তায় ছিলেন হবিগঞ্জ জেলা পুলিশের দুইটি টিম। অভিযান চলাকালে অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ভোক্তা অধিকার আইন বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে উপস্থিত জনসাধারণের মাঝে লিফলেট ও পাম্পলেট বিতরণ করা হয়। জনস্বার্থে রমজানের মাসের প্রত্যেক কার্যদিবসে এ অভিযান অব্যহত থাকবে বলে জানিয়েছেন ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আমিরুল ইসলাম মাসুদ।