পিতার উপর অভিমান করে চলে যায় তারা ॥ নবীগঞ্জে পানি আনতে গিয়ে উধাও হওয়া দুই কিশোরীর সন্ধান মিলছে
তারিখ: ২১-জুলাই-২০১৮
স্টাফ রিপোর্টার ॥

নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের ভেতরের টিউবওয়েল থেকে কলসি নিয়ে পানি আনতে গিয়ে উধাও হওয়া ১১ বছর বয়সী দুই কিশোরীর সন্ধ্যান মিলেছে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধায় উধাও হওয়া স্বর্ণা ও চাঁদনিকে শুক্রবার সকালে উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের সর্দারপুর গ্রামের জনৈক রিকশা চালকের বাড়ি থেকে নিয়ে আসেন সংশ্লষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও তাদের পিতা-মাতা। পরে তাদেরকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে হাজির করা হলে পিতা মাতার মুছলেকা রেখে তাদের জিম্মায় সমজিয়ে দেওয়া হয় কিশোরীদ্বয়কে। সুত্রে প্রকাশ, নবীগঞ্জ পৌর এলাকার অভয়নগরস্থ আলী ভিলায় বসবাসকারী নেত্রকোনা জেলার মদন উপজেলার ফতেহপুর গ্রামের ফুরকান মিয়া ও পৌর এলাকার কানাইপুর গ্রামের রাখেশ সুত্রধরে কিশোরী কন্যা চাঁদনি বেগম (১১) স্বর্ণা সূত্রধর (১২) পার্শ্ববর্তী উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের ভেতরের একটি টিউবওয়েল থেকে কলসি নিয়ে পানি আনতে গিয়ে আর ফিরে আসেনি। রাতব্যাপী সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজেও তাদের কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় দৈনিক হবিগঞ্জ সময় পত্রিকাসহ স্থানীয় কয়েকটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এদিকে, শুক্রবার করগাঁও ইউনিয়নের সাকোয়া টুকেরবাজারের একটি চায়ের দোকানে বসা লোকজনের কথোপতকনের সময় সর্দারপুর গ্রামের এক রিকশা চালক জানায় দুই কিশোরীকে শুক্রবার রাতে টুকেরবাজারে পেয়ে তার বাড়িতে আশ্রয় দেন। এ খবর পেয়ে দুই কিশোরীর পিতা-মাতা ও ওয়ার্ড কান্সিলর সুন্দর আলী আরো লোকজন নিয়ে সর্দারপুর গ্রামস্থ ওই রিকশা চালকের বাড়িতে গিয়ে স্বর্ণা ও চাঁদনিকে নিয়ে আসেন। পরে তাদেরকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে হাজির করলে তারা জানায়, তারা তাদের পিতা-মাতার ওপর অভিমান করে পানি আনার বান করে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। হাটতে হাটতে রাতে টুকেরবাজার গিয়ে পৌছায় এ সময় ওই রিকশা চালক তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলে তারা রাতে থাকার অনুরোধ করে। পরে রিকশা চালক দুই কিশোরীকে তার বাড়িতে নিয়ে যান। অপর দিকে, আগামী সোমবার সকাল ১০টায় ওই রিকশা চালককে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে হাজির করার জন্য ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুন্দর আলীকে নির্দেশ দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদ-বিন-হাসান।

প্রথম পাতা