বাহুবলে ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষনের চেষ্টা করলেন প্রধান শিক্ষক ॥ এলাকায় তোলপাড়
তারিখ: ১৫-অগাস্ট-২০১৮
দিদার এলাহী সাজু ॥

বাহুবলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছেন প্রধান শিক্ষক। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার বশিনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ওই প্রধান শিক্ষককে বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। পরে গ্রাম্য মুরুব্বিরা সুবিচারের আশ্বাস দিলে অবরুদ্ধদশা থেকে মুক্তি পান তিনি। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় শুরু হয়েছে তোলপাড়। জানা যায়, উল্লেখিত সময়ে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাই বশিনা গ্রামের বাসিন্দা চতুর্থ শ্রেনীর জনৈকা এক শিক্ষার্থীকে তার অফিস কক্ষে ডেকে নিয়ে যান। দীর্ঘ সময় ওই শিক্ষার্থীকে নিয়ে অফিস কক্ষে অবস্থান করায় অন্য এক শিক্ষকের সন্দেহ জাগে। তাৎক্ষনিক অপর এক শিক্ষার্থীকে অফিসে পাঠান শিক্ষক। ওই শিক্ষার্থী তখন অফিস কক্ষে গিয়ে প্রধান শিক্ষকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পায়। এ সময় নির্যাতিতা শিক্ষার্থী শোর-চিৎকার করলে বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও আশ-পাশের লোকজন ছুটে আসেন। এ সময় নির্যাতিতা শিক্ষার্থী কান্নায় ভেঙ্গে পড়লে উপস্থিত লোকজন প্রধান শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে স্থানীয় মুরুব্বিরা সু-বিচারের আশ্বাস দিয়ে তাকে বন্দিদশা থেকে উদ্ধার করেন। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাই একই গ্রামের বাসিন্দা। এদিকে, স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানান, এলাকার কতিপয় প্রভাবশালীরা প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাইকে বাঁচাতে দৌড়ঝাপ শুরু করেছে।

এ প্রতিবেদক বিকেলে সরেজমিনে স্কুলের মাঠে খেলারত শিক্ষার্থীদের কাছে  বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে, তারা জানায়; প্রধান শিক্ষক প্রায়ই অফিস কক্ষে বড়-বড় মেয়েদের ডেকে নিয়ে যান, এবং তাদেরকে আলাদা ভাবে পড়ান।

অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাইয়ের মোবাইল ফোনে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ’বিষয়টি সম্পূর্ণ গুজব। যারা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে তারা আমার ’রিলেটিভ’ নয়।

বাহুবল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জসীম উদ্দিন বলেন, ’ম্যানেজিং কমিটি বিষয়টি আমাকে অবগত করেছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে’। তিনি আরো বলেন, ’তাৎক্ষণিক উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল মজিদকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। বুধবার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে’।

প্রথম পাতা