মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জায়গা দখলের পায়তারা ॥ হাতিরথানে দোকানঘর ভাংচুর করেছে দুর্বৃত্তরা
তারিখ: ১২-সেপ্টেম্বর-২০১৮
স্টাফ রিপোর্টার ॥

হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পইল ইউনিয়নের হাতিরথান গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক থানা কমান্ডার মৃত (অবঃ) সুবেদার শামছুল হুদার পরিবারের জায়গা দীর্ঘদিন ধরে দখল করার পায়তারায় লিপ্ত রয়েছে একই এলাকার একটি প্রভাবশালী চক্র। এ প্রেক্ষিতে গত রবিবার সকালে ওই প্রভাবশালীরা হাতিরথান বাজার মসজিদ মার্কেটের পূর্বদিকে নির্মানাধীন দোকানভিটটি জোরপূর্বক দখল করতে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হামলা ও ভাংচুর চালায়। বিষয়টি এলাকাবাসীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ওই মার্কেটের মালিক নুরুল হুদা জানান, দূর্বৃত্তরা দোকানভিটের ভাড়া বাবদ তার কাছে ১০ লাখ টাকা চাদা দাবী করে। তিনি ওই টাকা না দিলে ওই দূর্বৃত্তরা মার্কেটে হামলা ও ভাংচুর করে। জানা যায়, ওই বাজারে উল্লেখিত মার্কেটের মালিক ও দখলদার হিসেবে মৃত শামছুল হুদার পুত্র নুরুল হুদা প্রায়  ২ যুগ ধরে ওই জায়গাটি দখল করে আসছেন। কিছু অংশে একটি মার্কেট তৈরী করে ৫টি দোকান ঘর নির্মান করে ভাড়া দিয়ে ও ভাড়া আদায় করে ভোগ করে আসছেন। সম্প্রতি, একই এলাকার আব্দুস সহিদ, ফুলেছা খাতুন ও মনি আক্তারসহ একদল প্রভাবশালীরা ওই জায়গাটি দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠে। এক পর্যায়ে উল্লেখিতরা দোকানের ভাড়া আদায় বাবদ নুরুল হুদার কাছে ১০ লাখ টাকা চাদা দাবী করে বলে তিনি জানান। বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে নুরুল হুদা ওই জায়গায় একটি পাকা ঘর নির্মান করলে গত রবিবার সকাল ১১ টায় উল্লেখিত দূর্বৃত্তরা মার্কেটটি দখল নিতে ওই দোকান ঘরে হামলা চালায় এবং ভাংচুর করে। এতে প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়। এ সময় দোকান ঘর নির্মানের শ্রমিকরা ওই দূর্বৃত্তদের ভয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নুরুল হুদা আহত হন। বিষয়টি এলাকাবাসীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। উল্লেখ্য, ওই গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক থানা কমান্ডার মৃত (অবঃ) সুবেদার শামছুল হুদার স্ত্রী মৃত আঞ্জুবুন্নেছা তার নামীয় প্রায় ২ যুগ পূর্বে হাতীর থান মসজিদ মার্কেটে দোকান ভিটের ১১ শতক জায়গা রেখে মারা যান। এর পর থেকে প্রায় ২০ বছর যাবত ওই দোকান ভিটের জায়গাটি তার নাতী নাজমুল হুদা ও আরিফুল হুদা তাদের দখলে রেখে ভোগ করে আসছেন। যার দাগ নং-৯৭৪, জে এল নং-৭৫ ও মৌজা দারিয়া। এর পূর্বে বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক থানা কমান্ডার মৃত (অবঃ) সুবেদার শামছুল হুদা ও স্ত্রী মৃত আঞ্জুবুন্নেছা মারা যাওয়ার পর তাদের পুত্র সন্তান নুরুল হুদা ফারুক ও ২ কন্যা সন্তান শিউলী বেগম ও শিরিন আক্তার-এর মধ্যে পারিবারিক স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। ফলে এলাকার বিশিষ্ট মুরুব্বীয়ানের উপস্থিতিতে সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে তাদের ভাগের সম্পত্তি বাবদ নুরুল হুদা ফারুক তার বোন শিউলী বেগম ও শিরিন আক্তারকে নগদ ১১ লাখ টাকা এফিডেভিটের মাধ্যমে প্রদান করেন বলে জানান তিনি। এ সময় পৈত্রিক সম্পত্তিতে কোন দাবী নাই বলে শিউলী ও শিরিন এফিডেভিটে স্বাক্ষর করেন। যার এফিডেভিট নং-৩৪৯/১৪, তাং-১৬/৩/১৪ইং।

প্রথম পাতা