লাখাই’র কৃষ্ণপুর গণহত্যা দিবস পালন
তারিখ: ১৯-সেপ্টেম্বর-২০১৮
লাখাই প্রতিনিধি ॥

লাখাই উপজেলায় কৃষ্ণপুর গণহত্যা দিবস পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে কৃষ্ণপুর এলাকাবাসী মঙ্গলবার দুপুরে বধ্যভূমিতে নির্মিত স্মৃতি সৌধে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অমরেন্দ্র লাল রায় এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান। আলোচনায় অংশ নেন সহকারী কমিশনার ভূমি জাহিদুর রহমান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জীবন কুমার দে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এর সাবেক ডেপুটি কমান্ডার গৌর প্রসাদ রায়, শিক্ষক লিটন সূত্রধর ও আমিরুল ইসলাম আলম। এর আগে অতিথিবৃন্দ শিক্ষার্থীদেরকে সাথে নিয়ে স্মৃতি সৌধে পুস্প স্ববক অর্পণ করেন। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়। প্রসঙ্গত,১৯৭১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর লাখাই উপজেলার হাওর এলাকা কৃষ্ণপুর গ্রামে নৃসংস হত্যাকান্ডের মাধ্যমে ১২৭ জনকে হত্যা করা হয়েছিল। পঙ্গুত্ব বরণ করে এখনও বেচে আছেন আরও অন্তত ১৫/২০জ্ন। কৃষ্ণপুরের পার্শ্ববর্তী চন্ডিপুর। ১৬টি বাড়ি ছিল সেখানে। ৭১ সালে পাক বাহিনী সবকটি বাড়ি পুড়িয়ে দেয়। এখন সেখানে একটি পুকুর রয়েছে। গ্রামের ছিটেফুটাও নেই। স্থানীয়রা জানান খেলু রাজাকার ও লাল খা রাজাকার মিলিত হয়ে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে অবস্থানকারী পাক বাহিনীর সদস্যদের দিয়ে কৃষ্ণপুর গ্রামের ১২৭জনকে হত্যা করে। অষ্টগ্রামের পাক সেনারা কৃষ্ণপুর গ্রামে ভোর বেলায় নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে তা লাখাই উপজেলায় অবস্থানকারী পাক সেনারা বা শান্তি কমিটির কেউ জানত না। কৃষ্ণপুরের গণহত্যার জন্য দায়ী করা হয় মুড়াকরি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলীকে। তার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুন্যালে মামলা হয়েছে। চলছে স্বাক্ষ্য গ্রহণ। এরই মধ্যে গোপনে আমেরিকা পাড়ি দিয়েছেন লিয়াকত আলী।

প্রথম পাতা