বাহুবলের পূঁজামন্ডপে নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগের নামে লক্ষাধিক টাকার দূর্নীতি
তারিখ: ২৩-অক্টোবর-২০১৮
স্টাপ রিপোর্টার ॥

শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে বাহুবলের পূঁজামন্ডপে নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগের নামে লক্ষাধিক টাকার দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলরা উপরোক্ত টাকা হজম করেছেন বলে জানা যায়। বিষয়টি নিয়ে ভূক্তভোগিদের মধ্যে বিরাজ করছে চাপা ক্ষোভ ও উত্তেজনা। জানা যায়, এ বছর শারদীয় দুর্গাপূঁজা উপলক্ষে উপজেলার ৪৯টি মন্ডপের নিরাপত্তার জন্য ২০৭ জন পুরুষ ও মহিলাকে অংগীভূত করে উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কার্যালয়। নিয়ম অনুযায়ী প্রতি বছর দুর্গোৎসবে প্রতিদিন ৪৭৫ টাকা ভাতায় ৫ দিনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক নিরাপত্তা কর্মী অংগীভূত করা হয়। তবে এ ক্ষেত্রে শর্ত হল, অংগীভূত নিরাপত্তা কর্মীদের হতে হবে আনসার ও ভিডিপির মৌলিক প্রশিক্ষন প্রাপ্ত। অভিযোগে প্রকাশ, প্রতি বছরই এসব নিরাপত্তা কর্মী অংগীভূত করার সময় চরম অনিয়ম ও দূর্নীতির আশ্রয় নেন সংশ্লিষ্টরা। এ বছরও হয়নি তার ব্যতিক্রম। নাম না প্রকাশ করার শর্তে অংগীভূত একাধিক আনসার ও ভিডিপি সদস্য অভিযোগ করে জানান, “অংগীভূত হতে তাদের প্রত্যেককে দিতে হয়েছে ৫শত টাকা করে। এ হিসেবে ২০৭ জন নিরাপত্তা কর্মীর কাছ থেকে অবৈধভাবে আদায় করা হয়েছে প্রায় লক্ষাধিক টাকা। এসব টাকা আদায় করেছেন স্ব-স্ব ইউনিয়নের “ইউনিয়ন লিডারগন”। কেউ কেউ মনে করেন, “ওই টাকার একটি অংশ যায় উপজেলা আনসার ও ভিডিপি প্রশিক্ষিকা আফসানা বেগমের কাছে। তা না হলে, তিনি বিষয়টি জেনেও বরাবরই নিশ্চুপ থাকেন কেন”?

শুধু তাই নয়, অনুসন্ধানে জানা যায়, অংগীভূতদের মধ্যে অনেকেই অপ্রশিক্ষিত। যাদের ভাতা ৫০%  কর্তনের গোপন চুক্তিতে অংগীভূত করেন ইউনিয়ন লিডারগন। এতে করে প্রকৃত প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত সদস্যরা বছরের পর বছর হন বঞ্চিত। বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগিদের মধ্যে বিরাজ করছে চাপা ক্ষোভ ও উত্তেজনা। এ বিষয়ে উপজেলা আনসার ও ভিডিপি প্রশিক্ষিকা আফসানা বেগম জানান, বিষয়টি তার জানা নেই। তবে অপ্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কোন লোককে অংগীভূত করা হয় না। কমপক্ষে ২ দিনের নির্বাচনী ট্রেনিং যাদের আছে তাদেরকেই অংগীভূত করা হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হল, ২ দিনের “নির্বাচনী প্রশিক্ষন” প্রাপ্ত লোকেরা আইনশৃংখলার দায়িত্ব নেবে কি করে।

প্রথম পাতা