হবিগঞ্জ শহরের গোসাইপুরস্থ ‘শাহজালাল সিটি ডেভলপমেন্ট লিমিটেড’-এর মামলায় ১৬ আসামীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে “পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন” (পিবিআই)। সম্প্রতি এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন ‘পিবিআই’-এর পুলিশ পরিদর্শক শরীফ মোঃ রেজাউল করিম। অভিযুক্ত আসামীরা হল, হবিগঞ্জ শহরের গোসাইপুর এলাকার মৃত আসকর আলীর পুত্র শওকত মিয়া (৫২), মৃত ইনতাজ উল্লাহ’র পুত্র আব্দুল খালেক ওরফে বুইদ্দা মিয়া (৫৫), হবিগঞ্জ শহরের গোসাইপুর এলাকার মফিজ উল্লাহ’র পুত্র ফজল মিয়া ওরফে ফজইল্লা (৪৪), বাহুবল উপজেলার খাগাউড়া-পশ্চিমহাটি গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা ও বর্তমানে হবিগঞ্জ শহরের নিউ মুসলিম কোয়ার্টার এলাকার বাসিন্দা মৃত মোদাচ্ছির মিয়া ওরফে মোছাদ্দর চেয়ারম্যান এর পুত্র মুহিন মিয়া (৩৫), হবিগঞ্জ শহরের গোসাইপুর এলাকার মৃত সোনাই মিয়ার পুত্র হিরাই মিয়া (৫৫), একই এলাকার মৃত রহিম উল্লাহ’র পুত্র শিরিষ আলী (৫৮), আব্দুল খালেকের পুত্র ফেরদৌস মিয়া (৩৪) ও তার ভাই আব্দুল কুদ্দুছ (৩৬) এবং বানিয়াচং উপজেলার স্থায়ী বাসিন্দা ও বর্তমানে হবিগঞ্জ শহরের সিনেমাহল রোড এলাকার বাসিন্দা মৃত তালেবুর হোসেনের পুত্র সাবাজ চৌধুরী (৫৫)।
মামলার বিবরনে জানা যায়, ২০০৫ সালে হবিগঞ্জ শহরের গোসাইপুর এলাকায় প্রায় ১২ একর জমিতে আবাসন প্রকল্পের উন্নয়নমূলক কাজ শুরু করে ‘শাহজালাল সিটি ডেভলপমেন্ট লিমিটেড’। ওই প্রকল্পের মাটি ভরাট কাজ চলাকালে ২০০৯ সালের ৫ নভেম্বর উল্লেখিত আসামীরা বাধা প্রদানসহ শ্রমিকদের মারধর করে। শুধু তাই নয়, আসামীরা এক কোটি টাকা চাঁদাও দাবী করে। এছাড়াও পরবর্তীতে আবাসন প্রকল্প সংলগ্ন হবিগঞ্জ পৌরসভার ‘মাটিয়া দই বিল’ নামক এলাকায় ৫ একর জমির উপর স্থাপিত ওই কোম্পানীর মালিকানাধীন ফিশারি থেকে প্রায় কোটি টাকার মাছ জোরপূর্বক শিকার করে নিয়ে যায় উল্লেখিত আসামীরা। এ ঘটনায় হবিগঞ্জ পৌরসভার গোসাইপুর (ইনাতাবাদ সংলগ্ন) এলাকার এস.এম আমিন উদ্দিনের পুত্র ‘শাহজালাল সিটি ডেভলপমেন্ট লিমিটেড’-এর প্রশাসনিক পরিচালক আশেক আহমেদ উদ্দিন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।