সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় ॥ মহাজোটের প্রার্থীতা নিয়ে জেলা জুড়ে ধূম্রজাল ॥ উদ্বেগ-উৎকন্ঠায় কর্মী-সমর্থক
তারিখ: ১৫-নভেম্বর-২০১৮
দিদার এলাহী সাজু ॥

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে হবিগঞ্জ জেলার সব আসনেই মহাজোটের প্রার্থীতা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ধূম্রজাল। “কে থাকছেন আর কে বাদ পড়ছেন” এ নিয়ে চরম উদ্বেগ-উৎকন্ঠা বিরাজ করছে কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে। অনুসন্ধানে জানা যায়, একই আসনে আওয়ামীলীগের একাধিক শক্তিশালী প্রার্থী থাকা ও মহাজোটের শরীক জাতীয় পার্টির সাথে আসন ভাগা-ভাগি সংক্রান্ত জটিলতার কারনেই এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন অর্থ্যাৎ ২৮ নভেম্বরের পূর্বে এ জটিলতার চুড়ান্ত অবসান নাও হতে পারে। জানা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. ফরাশ উদ্দিন হবিগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামীলীগের ব্যানারে নিজের প্রার্থীতা ঘোষনা করায় জেলার সব আসনেই মহাজোটের প্রার্থী জটিলতা আরো দ্বিগুন হয়েছে। এ অবস্থায় একদিকে, হতাশা আর উদ্বেগ-উৎকন্ঠা সৃষ্টি হয়েছে সমগ্র জেলার জাপা নেতা-কর্মীদের মধ্যে। অন্যদিকে, নিজের প্রার্থীতা নিয়ে শংকিত হয়ে পড়েছেন জেলার একাধিক সাংসদসহ আওয়ামীলীগের শক্তিশালী প্রার্থীরা। তবে উভয় দলের নেতা-কর্মীরাই চেয়ে রয়েছেন নিজেদের দলের ও মহাজোটের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের প্রতি।

লক্ষ্য করা যাচ্ছে, নির্বাচনকে সামনে রেখে হবিগঞ্জ-১ ও হবিগঞ্জ-৪ আসনে মহাজোটের প্রার্থী মনোনয়ন জটিলতা চরম আকার ধারন করেছে। এ দুটি আসনের ৬ জন প্রার্থী এখন সর্বত্রই আলোচিত। এরা হলেন, হবিগঞ্জ-১ আসনে জাপার এমএ মুনিম চৌধুরী বাবু এমপি, আওয়ামীলীগের অ্যাডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া চৌধুরী কেয়া এমপি (সংরক্ষিত আসন) ও আওয়ামীলীগের শাহনেওয়াজ মিলাদ গাজী এবং হবিগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামীলীগের অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী এমপি, আওয়ামীলীগের ড. ফরাশ উদ্দিন ও জাপার আতিকুর রহমান আতিক। চুড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পূর্বে ওই ৬ জনের ৪ জনকেই বিদায় নিতে হবে (প্রার্থী হিসেবে) নির্বাচনী মাঠ থেকে। তবে বাদ পড়া ৪ জনের কোন ১ জনকে জেলার অন্যকোন আসনে প্রার্থী করা হতে পারে বলেও গুঞ্জন রয়েছে। আর এ কারনেই জেলার সবকটি আসনে মহাজোটের প্রার্থীতা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ধূুম্রজাল। এ অবস্থায় নিজ নিজ কর্মী-সমর্থকরা রয়েছেন উদ্বেগ-উৎকন্ঠায়। কেন্দ্রে নেতারা (প্রার্থী) চালাচ্ছেন জোর লবিং। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চলছে তোলপাড়।

প্রথম পাতা