লাখাইয়ে চাঞ্চল্যকর হাকিম হত্যা মামলার আসামীদের হুমকিতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় বাদি ও তার পরিবার
তারিখ: ১৭-নভেম্বর-২০১৮
স্টাফ রিপোর্টার ॥

লাখাই উপজেলার মুড়াকড়ি গ্রামের চাঞ্চল্যকর হাকিম মিয়া হত্যা মামলার আসামীদের হুমকীতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন বাদিনী ও তার পরিবার। এমনকি আসামী এবং তাদের লোকজন বাদী ও সাক্ষীদেরও বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি আসামীরা হাইকোর্ট থেকে অন্তরবর্তীকালীন জামিনে এসে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার সকালে হত্যা মামলার বাদিনী নিহতের মা আছমা বেগমকে মুড়াকড়ি বাজারে পেয়ে অন্যতম আসামী তৌহিদ মিয়া মূহরীর নেতৃত্বে তার সহযোগিরা অশালিন ভাষায় কথাবার্তাসহ হামলা করতে উদ্দ্যত হয় এবং মামলা তুলে নেয়ার জন্য ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে। ওই সময় স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় আছমা বেগম রক্ষা পান। এ ব্যাপারে ওইদিনই আছমা খাতুন বাদি হয়ে তৌহিদ মিয়াকে প্রধান আসামী করে মৌলদ মিয়া, ইসমাইল, মোজাম্মিল, মহিউদ্দিন, ফুরুক মিয়া, বাহার মিয়া, দস্তগীর, হান্নান মিয়া ও আল আমিনের বিরুদ্ধে লাখাই থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেন। উক্ত সাধারণ ডায়রীতে আছমা খাতুন নিরাপত্তাহীনতার কথা উল্লেখ করে তার পুত্র হাকিম মিয়া হত্যা মামলার আসামী তৌহিদ বাহিনীর অপতৎপরতার বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন। জানা গেছে, আসামীরা তাদের মহিলাদের দিয়েও এলাকায় একটি বাহিনী গড়ে তুলেছে। ওই বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে উঠেছেন নিরীহ বাদী ও সাক্ষীরা। উল্লেখ্য, গত ২২ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ওই গ্রামের প্রভাবশালী তৌহিদ মুহরির নির্দেশে তার বাহিনী ধারালো অস্ত্রসহ লাঠিসোটা নিয়ে একই গ্রামের আব্দুল কাইয়ূমকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় আব্দুল কাইয়ুম ঘরের বারান্দার গেইট তালাবদ্ধ করে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আত্মরক্ষা করেন। এ খবর পেয়ে আব্দুল কাইয়ুমের চাচাতো ভাই নিহত হাকিম মিয়া রওয়ানা হলে পথিমধ্যে লাঠিয়াল বাহিনী তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় গত ২৪ অক্টোবর তৌহিদ মুহরিসহ ৩৪ জনের নাম উল্লেখপুর্বক ১০/১২ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে নিহতের মা মোছাঃ আছমা বেগম বাদি হয়ে লাখাই থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামীরা হলো হাফিজ মিয়া (৫৮), উমর ফারুক (৩০), আবুল বাশার (২৭), উসমান মিয়া (২২), মুসা মিয়া (২০), সামাদ মিয়া (৩০), আব্দুল হামিদ (৩৫), মৌলদ মিয়া (৫৮), জুয়েল মিয়া (২৭), সায়েম মিয়া (২৪), কামাল মিয়া (৫৪), সাদ্দাম মিয়া (২৮), দরবেশ মিয়া (৫৪), মারুফ মিয়া (২৮), ফুরুক মিয়া (৫০), আলামিন মিয়া (৩০), রুহুল আমিন (২৩), সালাউদ্দিন (২৭), মহিউদ্দিন (২৪), আরিফ মিয়া (৫৮), বাহার মিয়া (৩৮), তৌহিদ মিয়া মুহুরি (৬০), ইসরাইল মিয়া মুহুরি (৩২), মুজাম্মিল মিয়া (৩০), মোতাব্বির মিয়া (২৮), দস্তগীর মিয়া (২০), পাভেল মিয়া (৩২), রুবেল মিয়া (৩০), তোফায়েল মিয়া (২৫), তোফাজ্জল মিয়া (২২), উজ্জল মিয়া (২০), ইসমাইল মিয়া (৩৩), হান্নান মিয়া (৩৮) ও রায়হান মিয়া (২৬)। ঘটনার দিন তৌহিদ মুহুরির লাঠিয়াল বাহিনী বাদি ও সাক্ষীদের বাড়ি ঘরে হামলা ভাংচুর চালায় এবং নিহতের স্বজনদের মারধর করে গুরুতর জখম করে।

প্রথম পাতা