শহরে‘শাহজালাল সিটি ডেভলপমেন্ট লিমিটেড’-এর চাঁদাবাজি মামলায় শওকত মিয়াসহ আরো ২ আসামী কারাগারে
তারিখ: ১৭-নভেম্বর-২০১৮
স্টাফ রিপোর্টার ॥

হবিগঞ্জ শহরের গোসাইপুরস্থ ‘শাহজালাল সিটি ডেভলপমেন্ট লিমিটেড’-এর চাঁদাবাজি ও লুটপাটের মামলায় আসামী ৯ বছর পর শওকত মিয়াসহ ২ পলাতক আসামীকে কারাগারে প্রেরণ করেছে আদালত। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ সুলতান প্রধানের আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে প্রেরণ করেন। তারা হল, গোসাইপুর এলাকার মৃত আস্কর আলীর পুত্র শওকত মিয়া (৫২) ও একই এলাকার মফিজ উল্লাহ’র পুত্র ফজল মিয়া (৪৪)। বাদী পক্ষের মামলা পরিচালনা করেন জেলা আইনজীবি সমিতির সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সম্পাদক এডভোকেট মোঃ নুরুল ইসলাম চৌধুরী। আসামী পক্ষের মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট তাজ উদ্দিন সুফীসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবি। ঘন্টাখানেক শুনানী শেষে বিচারক এ আদেশ প্রদান করেন। মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৫ সালে হবিগঞ্জ শহরের গোসাইপুর এলাকায় প্রায় ১২ একর জমিতে আবাসন প্রকল্পের উন্নয়নমূলক কাজ শুরু করে ‘শাহজালাল সিটি ডেভলপমেন্ট লিমিটেড’। ওই প্রকল্পের মাটি ভরাট কাজ চলাকালে ২০০৯ সালের ৫ নভেম্বর উল্লেখিত আসামীরা বাধা প্রদানসহ শ্রমিকদের মারধর  করে। শুধু তাই নয়, আসামীরা এক কোটি টাকা চাঁদাও দাবী করে। এছাড়াও পরবর্তীতে আবাসন প্রকল্প সংলগ্ন হবিগঞ্জ পৌরসভার ‘মাটিয়া দই বিল’ নামক স্থানে  এলাকায় ৫ একর জমির উপর স্থাপিত ওই কোম্পানীর মালিকানাধীন ফিশারি থেকে প্রায় কোটি টাকার মাছ জোর পূর্বক লুট করে নিয়ে যায় উল্লেখিত আসামীরা। এ ঘটনায় হবিগঞ্জ পৌরসভার গোসাইপুর (ইনাতাবাদ সংলগ্ন) এলাকার এসএম আমিন উদ্দিনের পুত্র ‘শাহজালাল সিটি ডেভলপমেন্ট লিমিটেড’-এর প্রশাসনিক পরিচালক আশেক আহমেদ উদ্দিন বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

তদন্ত শেষে গত ৯ অক্টোবর ১৬ আসামীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে “পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন” (পিবিআই) এর পুলিশ পরিদর্শক শরীফ মোঃ রেজাউল করিম। অভিযুক্ত আসামীরা হল, হবিগঞ্জ শহরের গোসাইপুর এলাকার মৃত আসকর আলীর পুত্র শওকত মিয়া (৫২), মৃত ইনতাজ উল্লাহ’র পুত্র আব্দুল খালেক ওরফে বুইদ্দা মিয়া (৫৫), হবিগঞ্জ শহরের গোসাইপুর এলাকার মফিজ উল্লাহ’র পুত্র ফজল মিয়া ওরফে ফজইল্লা (৪৪), বাহুবল উপজেলার খাগাউড়া-পশ্চিমহাটি গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা ও বর্তমানে হবিগঞ্জ শহরের নিউ মুসলিম কোয়ার্টার এলাকার বাসিন্দা মৃত মোদাচ্ছির মিয়ার পুত্র মুহিন মিয়া (৩৫), হবিগঞ্জ শহরের গোসাইপুর এলাকার মৃত সোনাই মিয়ার পুত্র হিরাই মিয়া (৫৫), একই এলাকার মৃত রহিম উল্লাহ’র পুত্র শিরিষ আলী (৫৮), আব্দুল খালেকের পুত্র ফেরদৌস মিয়া (৩৪) ও তার ভাই আব্দুল কুদ্দুছ (৩৬) এবং বানিয়াচং উপজেলার স্থায়ী বাসিন্দা ও বর্তমানে হবিগঞ্জ শহরের সিনেমাহল রোড এলাকার বাসিন্দা মৃত তালেবুর হোসেনের পুত্র সাবাজ চৌধুরী (৫৫)। দীর্ঘ ৯ বছর পর মামলার বাদী ন্যায় বিচার পেয়েছে বলে তার আইনজীবি জানান। অন্যদিকে আসামী পক্ষের আইনজীবিরা জানান, আসামীরা নির্দোষ।

প্রথম পাতা