মাধবপুরে কিশোরীকে ধর্ষনের অভিযোগে ৩ ধর্ষককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন গ্রামবাসী। ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার সোনাই নদীর বহরা রাবার ড্যাম এলাকায়। এ ঘটনায় আটক ৩ ধর্ষকের বিরুদ্ধে মাধবপুর থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে মামলাটি দায়ের করেন ধর্ষিতার পিতা আলাউদ্দিন। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় শুরু হয়েছে তোলপাড়। ধর্ষনের শিকার কিশোরীর পরিবার ও পুলিশ সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের সুলতান পুর গ্রামের আলাউদ্দিনের কিশোরী কন্যাকে বেলাপুর গ্রামস্থ তার নানা বাড়ি থেকে বিয়ের প্রলোভনে তুলে নিয়ে যায় আটককৃত আবদাল মিয়া। পরে ওই রাতেই সোনাই নদীর বহরা রাবার ড্যাম এলাকার নির্জন স্থানে নিয়ে বন্ধু খোরশেদ ও মনিরকে সাথে নিয়ে কিশোরীর উপর গণধর্ষন চালায় আবদাল। এ সময় তার শোর-চিৎকারে গ্রামবাসী এগিয়ে এসে ৩ ধর্ষককে আটক করে কাসিমনগর ফাঁড়ি পুলিশে সোর্পদ করেন।

এ ব্যাপারে ফাঁড়ির এস.আই শাহ আলম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত ৩ ধর্ষক ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার দায় স্বীকার করেছে। এদিকে, ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ওই ধর্ষিতাকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতার ৩ ধর্ষক হল, উপজেলার বহরা গ্রামের রঙ্গুমিয়ার পুত্র আবদাল মিয়া (১৮), একই উপজেলার বানিয়া পাড়া গ্রামের আব্দুল সালামের পুত্র মনির মিয়া (১৮) ও বেলাপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর পুত্র খুরশেদ মিয়া (১৮)। মাধবপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত কর্মকর্তা) কামরুজামান বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আটক ৩ ধর্ষককে গতকাল বুধবার বিকেলে আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ধর্ষনের শিকার কিশোরীর পিতার সঙ্গে তার মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদের পর মেয়েটি বেলাপুর গ্রামে নানা তাহের মিয়ার বাড়িতে থেকে তালিবপুর আহছানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করত। কিশোরীর সরলতার সুযোগ নিয়ে গ্রেফতারকৃত লম্পট আবদাল কৌশলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে।