শহরে র‌্যাব-বিজিবি ও পুলিশের কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা ॥ পৌরসভায় ইভিএম’এ প্রথম ভোট আজ ॥ ভোটগ্রহণ সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা
তারিখ: ২৪-জুন-২০১৯
দিদার এলাহী সাজু ॥

আজ সোমবার উৎসব মুখর পরিবেশে হবিগঞ্জ পৌরসভার উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহন। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত ২০ টি কেন্দ্রে একটানা-একযোগে ‘ই.ভি.এম’ পদ্ধতিতে এ ভোটগ্রহন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে ঘিরে গতকাল রবিবার দিবাগত রাত থেকেই শহরে নেয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নির্বাচন ও জরুরী জনগুরুত্বপূর্ন কাজে নিয়োজিত পরিবহন ব্যতিত সবধরনের যানবাহন চলা-চলে জারী করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। গতকাল বিকেলেই কেন্দ্রে-কেন্দ্রে পৌছে গেছে নির্বাচনী সরঞ্জাম। প্রতিটি কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করবে পুলিশ ও আনসার সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। স্টাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবে র‌্যাব ও বি.জি.বি। এ ছাড়াও আছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মোবাইল টিম। এদিকে, এবারের নির্বাচনে প্রথম ই.ভি.এম-এর সাথে পরিচয় ঘটবে পৌরবাসীর। নতুন এ পদ্ধতি নিয়ে ভোটারদের মধ্যে রয়েছে শঙ্কা। পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকায় অনেকেই ভয় পাচ্ছেন ভোট দিতে। বিশেষ করে মহিলা ভোটারদের মধ্যে এ ভীতি প্রবল। যে কারনে ভোটার উপস্থিতির হার নিয়েও শঙ্কিত প্রার্থীরা। ৪৭ হাজার ৮ শত ২০ জন ভোটার মাত্র প্রায় দেড় বছরের জন্য নির্ধারন করবেন, কে হবেন নতুন মেয়র। নির্বাচনে লড়াই করছেন ৫ প্রার্থী। এরা হলেন, মিজানুর রহমান মিজান (নৌকা), এম. ইসলাম তরফদার তনু (মোবাইল ফোন), মোঃ মর্তুজ আলী (চামচ), এডভোকেট নিলাদ্রী শেখর পুরকায়স্ত টিটু (নারিকেল গাছ) ও সৈয়দ কামরুল হাসান (জগ)।

কোন কেন্দ্রে কত ভোট ঃ- উমেদনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৩ হাজার ৯৪, উমেদনগর শাহজালাল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ৩ হাজার ২৮, উমেদনগর জামেয়া ইসলামীয়া টাইটেল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ১ হাজার ২শত ৮১, সওদাগর কৃষ্ণধন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ২ হাজার ৯শত ৯, নিরদাময়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৩ হাজার ১শত ২৬, পিটিআই কেন্দ্রে ২ হাজার ১ শত ৫, চৌধুরী বাজার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় (দ্বিতল ভবন) কেন্দ্রে ২ হাজার ৩ শত ৩১, চৌধুরী বাজার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় (টিনশেড ভবন) কেন্দ্রে ২ হাজার ৭ শত ৪, হবিগঞ্জ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৩ হাজার ৬ শত ১৩, রামচরন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১ হাজার ৪শত ২৪, গোসাইনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ১ হাজার ৮ শত ৪২, স্টাফ কোয়ার্টার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৩ হাজার ৪শত ১৬, বিকেজিসি সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (১ম ভবন) কেন্দ্রে ২ হাজার ১৫, বিকেজিসি সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (২য় ভবন) কেন্দ্রে ২ হাজার ১শত ৭৯, টাউন মডেল বালক-বালিকা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১ হাজার ৬শত ৭০, জেকে এন্ড এইচকে উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৩ হাজার ৩শত ১৫, হবিগঞ্জ দারুছুন্নাৎ কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ১ হাজার ৪শত ৭০, জেলা পরিষদ ভবন (সার্কিট হাউজ) কেন্দ্রে ২ হাজার ১শত ৫৫, গাউছিয়া জামিয়া সাদিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে ২ হাজার ৯শত ২৮ ও মাছুলিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১ হাজার ৫শত ১৫।

উল্লেখ্য, ১৮৮১ সালে প্রতিষ্ঠিত হবিগঞ্জ পৌরসভার আয়তন ৯.৫ বর্গ কিলোমিটার। বর্তমানে এটি ১ম শ্রেণীর পৌরসভা হিসেবে স্বীকৃত। ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত এ পৌরসভায় বসবাস করেন প্রায় লক্ষাধিক মানুষ। ভোটার সংখ্যা ৪৭ হাজার ৮শত ২০। জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে গত বছরের ২৮ নভেম্বর মেয়র জিকে গউছ পদত্যাগ করলে পদটি শূণ্য হয়। বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পালন করছেন পৌর প্যানেল মেয়র দিলীপ দাস।

প্রথম পাতা