দাবী আদায় করতে গিয়ে পৌরবাসীকে জিম্মি না করতে জি কে গউছের আহ্বান
তারিখ: ২০-জুলাই-২০১৯
স্টাফ রিপোর্টার ॥

পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ তাদের বেতন ভাতা সরকারী কোষাগার থেকে পাওয়ার দাবীতে যে আন্দোলন করছে তা যোক্তিক। তবে তাদের দাবী আদায় করতে গিয়ে নাগরিক সেবা বন্ধ করে পৌরবাসীকে জিম্মি না করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ। তিনি গতকাল সংবাদপত্রে প্রেরিত এক বিবৃতিতে বলেন-সারাদেশের ৩২৭টি পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারীগণ তাদের বেতন ভাতা সরকারী কোষাগার থেকে পাওয়া সহ বিভিন্ন দাবীতে গত এক সপ্তাহ যাবত ঢাকায় অবস্থান করে যে আন্দোলন করছেন তা যোক্তিক। দেশের অধিকাংশ পৌরসভায় আর্তিক সক্ষমতা না থাকার কারণে সময় মত পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারীগণ তাদের বেতন ভাতা পান না। ফলে তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করতে হয়। তাই সরকারকে বিষয়টি সুহানুভূতির দৃষ্টিতে দেখা উচিৎ এবং তাদের দাবী মেনে নেয়া উচিৎ। আমি তাদের দাবীর সাথে একমত পোষণ করছি। তবে পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারীগণ তাদের দাবী আদায় করতে গিয়ে পৌরবাসীকে কোনভাবেই জিম্মি করা উচিৎ নয়। গত ৬ দিন যাবত হবিগঞ্জ পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারীগণ তাদের দাবী আদায়ের লক্ষে সকল নাগরিক সেবা বন্ধ রেখেছেন। এতে পৌরবাসীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে পৌর এলাকার সড়ক বাতি না জালানোর কারনে শহর অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে। এতে শহরে চুরি ডাকাতি সহ যে কোন ধরনের অনাকাংখিত ঘটনার আশংকা দেখা দিয়েছে। পৌরবাসীর মধ্যে এ নিয়ে উদ্বেগ উৎকন্ঠা বিরাজ করছে।

আমি ২০০৪ সালে হবিগঞ্জ পৌসভার মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহনের পর পৌর এলাকার সংলগ্ন মসজিদের ৫ জন মোয়াজ্জিনকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম স্ট্রীট লাইটের মেইন সুইচ অন অপ করার জন্য। যাতে কোন ভাবেই শহর অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে না পড়ে। এ জন্য পৌরসভার পক্ষ থেকে তাদেরকে সম্মানী দেয়া হচ্ছে। পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারীগণ দাবী আদায় করতে ঢাকায় অবস্থান করলেও ওই মোয়াজ্জিনগন তো তাদের সাথে আন্দোলনে অংশ গ্রহন করছেন না। তাই তাদের মাধ্যমে সড়ক বাতিগুলো জালানোর ব্যবস্থা করতে অনুরোধ জানান জি কে গউছ। এতে শহরবাসির মধ্যে স্বস্থি ফিরে আসবে এবং অনাকাংখিত ঘটনা থেকে শহরবাসি রক্ষা পাবে।

স্থানীয় প্রশাসনকেও পৌরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং আইন শৃংখলা পরিস্থিতি সাভাবিক রাখতে যথাযত ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য তিনি অনুনোধ জানান।

প্রথম পাতা