ট্রাফিক পুলিশের মাধবপুর জোনের ইন্সপেক্টর মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে পরিবহনে চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে। মিজানুর রহমান কারণে-অকারণে পরিবহন গুলো আটক করে চালকদের চাঁদা আদায় করছেন। তাকে চাঁদা না দিলে মামলা দিয়ে পরিবহন চালক ও মালিকদের মামলা দিয়ে হয়রানী করছেন বলে জানা গেছে। সিলেট লাল বাজারস্থ মেসার্স মহানগর ডিমের আড়ত ও হবিগঞ্জ বানিয়াচং রোডস্থ মেসার্স হবিগঞ্জ-এগ্স ডিমের আড়তের স্বত্ত্বাধিকারী হবিগঞ্জ সদর উপজেলা লুকড়া ইউনিয়নের চাঁন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা সাবেক মেম্বার মজনু মিয়া জানান, প্রতিদিন তার হবিগঞ্জ ও সিলেট ডিমের আড়ত থেকে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ৩টি ট্রাক দিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের পাইকারী ব্যবসায়ীদের কাছে ডিম আমদানি-রপ্তানি করে আসছেন। ট্রাক গুলো মাধবপুর এলাকায় পৌছলে সিভিল ভেসে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মিজানুর রহমান আটক করেন। এ সময় ট্রাক ছাড়িয়ে নেয়ার জন্য তিনি প্রতি ট্রাকে ৫শ টাকা করে চাঁদা দাবি করেন। ট্রাকের চালকরা দ্রুত পৌছার জন্য তাকে ৫শ টাকা চাঁদা দিতে বাধ্য হন। অনেক সময় চাঁদা নেয়ার পরও ইন্সপেক্টর মিজান ট্রাক চালকের ডাইভিং লাইন্সেসসহ গাড়ী চালকপত্র জোর পূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে চালক ও গাড়ীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। সম্প্রতি ব্যবসায়ী মজনু মিয়ার কাছে মাসোআরা হিসেবে প্রতি ট্রাকে ৩ হাজার টাকা করে চাঁদা দাবি করেন। এতে তিনি চাঁদা দিতে না চাইলে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মিজানুর রহমান তার প্রতি বিক্ষুব্দ হয়ে উঠেন। শুরু করেন আবার ব্যবসায়ী মজনু মিয়ার ডিমের গাড়ী আটক করা। কারণে-অকারণে প্রতিদিন তার ডিমের ট্রাকগুলো আটক করেন মিজান। গতকালও ব্যবসায়ী মজনু মিয়ার ডিমের গাড়ী (ঢাকা মেট্রো-ডিএ-১৪-৫৬০৫) মাধবপুর বাজার পার হওয়ার পরই ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মিজান গাড়ীটি আটক করে চালকের কাছে ৫শ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এ সময় চালক তাকে ৫শ টাকা চাঁদা দেয়ার পরও ইন্সপেক্টর মিজান মামলা দিয়ে ট্রাকটি আটক করেন। এতে ডিম বোঝাই ট্রাকটি আটক হওয়ার কারণে নির্ধারিত সময়ে ব্যবসায়ী মজনু মিয়ার আড়তের ডিমগুলো গন্তব্য স্থানে পৌছতে পারেনি। এতে ব্যবসায়ী মজনু মিয়া আর্থিক ভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। এছাড়াও কামড়া-নছতপুর বাইপাস সড়ক দিয়ে মহাসড়কে তার ডিমের ট্রাকগুলো উঠার আগেই শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশ ডিম বোঝাই ট্রাক আটক করে চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে তারা ট্রাকগুলো ছাড়েন না। ব্যবসায়ী মজনু মিয়া বলেন-সরকারে নির্ধারিত ট্যাক্স পরিশোধের মাধ্যমে আমরা বৈধ ভাবে ব্যবসা করে আসছি। আমার ট্রাকগুলোর বৈধ কাগজপত্র রয়েছে। তাহলে আমরা ব্যবসায়ীদের কেন ট্রাফিক পুলিশ হয়রানী করবে। এ ব্যাপারে তিনি পুলিশের উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন।