৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা ॥ রুবেল-হারিছসহ ৩ জন কারাগারে ॥ সাতছড়িতে স্কুল ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক মানিকের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি
তারিখ: ১৩-ডিসেম্বর-২০১৯
জাকারিয়া চৌধুরী ॥

চুনারুঘাটের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে প্রেমিকের সাথে ঘুরতে এসে স্কুল ছাত্রী গণধর্ষণে শিকার হওয়ার ঘটনায় আদালতে ১৬৪ দ্বারায় স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি দিয়েছে ধর্ষক মানিক মিয়া। এসময় সে নিজে ধর্ষণের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং এ ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের নাম প্রকাশ করে।

মানিক মিয়া উপজেলার রহমতাবাদ ষাড়েরকোনা গ্রামের ছিদ্দিক আলীর পুত্র। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান উদ্দিন প্রধানের আদালতে এ স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি গ্রহন করা হয়। এছাড়াও এ ঘটনায় জড়িত উপজেলার আমতলী গ্রামের আবুল হাসিমের ছেলে রুবেল মিয়া (২৪), রহমতাবাদ ষাড়েরকোনা গ্রামের নওশেদ আলীর ছেলে হারিছ মিয়া (৩৫) কে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। এছাড়াও ভিকটিম স্কুল ছাত্রীর জবানবন্দি গ্রহন শেষে তার পিতার জিম্মায় দেয়া হয়।

বৃহস্পতিবার রাতে দৈনিক হবিগঞ্জ সমাচারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নাজমুল হক। 

উল্লেখ্য, বুধবার বিকেলে মাধবপুর শহরের লোকনাথ উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর জনৈক ছাত্রী তার প্রেমিক ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার সরাইল গ্রামের সাকিমুল হাসান সাকিবকে সাথে নিয়ে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে ঘুরতে আসে। ঘুরার এক পর্যায়ে ৬ জন বখাটে প্রেমিক সাকিবকে জোরপূর্বক আটক রেখে তার প্রেমিকাকে গহীণ অরণ্যে নিয়ে গণধর্ষন করে পালিয়ে যায়। এঘটনার পর স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন। পরে বিষয়টি পুলিশকে অবগত করলে পুলিশ রাতে  সাড়াশি অভিযান চালিয়ে ৩ বখাটেকে আটক করে। এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই ভিকটিম নিজেই বাদী হয়ে ৬ ধর্ষকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।

প্রথম পাতা