নারায়নপুরে শ্মশানের ব্যবহারের জায়গা বন্দোবস্ত দেয়ার পায়তারা ॥ অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কা
তারিখ: ২৩-জানুয়ারী-২০২০
স্টাফ রিপোর্টার ॥

দীর্ঘদিন ধরে গ্রামের সনাতন ধর্মাবলম্বী লোকজন মৃতের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্য শ্মশানটি ব্যবহার করে আসছেন সদর উপজেলার নারায়নপুর গ্রামবাসী। বর্তমানে কাটাতারের বেড়া দিয়েও শ্মশানটি আগলে রাখতে পারছেন না গ্রামের লোকজন। আদালতে মামলা চলাকালীন অবস্থায় ভূমি অফিস কিছু লোককে ওই এলাকার জমি বন্দোবস্ত দিয়ে চলেছে। শ্মশানের ভূমিতে বন্দোবস্ত পাওয়া লোকজন যদি ওই জায়গা দখল করতে যায়, তাহলে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হতে পারে বলে স্থানীয়রা আশংকা করছেন। বিষয়টি যাতে এড়িয়ে চলা যায় সেজন্য নারায়নপুর গ্রামবাসী বিভিন্ন দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ ও অফিসে বারবার ধর্না দিয়ে চলেছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না। ফলে বিপাকে পড়েছেন সদর উপজেলার রিচি ইউনিয়নের হিন্দু অধ্যুষিত নারায়নপুর গ্রামের লোকজন। তাই শ্মশানের জন্য ওই দাগের ৫৮ শতক ভূমিটি স্থায়ীভাবে পেতে চান নারায়নপুর গ্রামবাসী। এনিয়ে জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন কার্যালয়ে আবেদন করেছেন তারা।

উত্তরকুল মৌজার একটি দাগের ৩৩০ শতক ভূমির ক্রয়সূত্রে মালিক নারায়নপুর গ্রামবাসীর। ওই ভূমি এক টুকরো জমিতে যুগ যুগ ধরে তারা ওই শ্মশানে মৃতের সৎকারের কাজ করছেন। সেখানে একটি পাকা চুলা রয়েছে। পাশের ডোবাটিও সৎকারের জন্য ব্যবহার হয়। হঠাৎ করে সরকার জায়গাটিকে খাস ভূমি হিসেবে ঘোষণা দেয়। ২০১৫ সালে ভূমিটি অবমুক্তির জন্য ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালে গ্রামবাসীর পক্ষে একটি মোকদ্দমা দায়ের করা হয়। যেটি এখনো নিষ্পত্তি হয়নি। এরপর জেলা প্রশাসক বরাবরে ২০১৭ সালে আরেকটি আবেদন করা হয়। কিন্তু সে জায়গাটিতে বন্দোবস্ত দিয়ে চলেছে ভূমি অফিস। চলতি মাসে ভূমি অফিসের দেয়া বন্দোবস্ত বাতিলের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে গ্রামবাসীর পক্ষে বিরেন্দ্র গোপ আরেকটি আবেদন করেন। বিরেন্দ্র গোপ জানান, আমরা দেড়শ হিন্দু পরিবার নারায়নপুর গ্রামে বাস করি। আমাদের গ্রামের জন্য শ্মশানটি খুব দরকার। আমরা শ্মশানের কাজে ব্যবহারের জন্য ৫৮ শতক জমি গ্রামবাসীর পক্ষে বন্দোবস্তের আবেদন করেছি।

এ ব্যাপারে সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসফিকা হোসেন বলেন, ‘সরকারি ভমি বন্দোবস্ত দেয়া হচ্ছে।’

প্রথম পাতা